৪ঠা অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান।এ অভিযান চলবে ২৫শে অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত।অভিযান চলাকালীন সময় পর্যন্ত নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা জাল ফেলানো নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ মৎস অধিদপ্তর।আর এ অভিযান সফল করতে পাবনা আমিনপুর থানা পুলিশ ও নগরবাড়ী নৌ পুলিশ শতভাগ প্রস্তুত আছে বলে জানান,আমিনপুর থানার ওসি মোঃ রওশন আলী এবং নগরবাড়ী নৌ পুলিশ ফাড়ীর ওসি জাহাঙ্গীর আলম।
সাংবাদিকের সাথে আলাপকালে দুই ওসি বলেন,মাছ ইলিশ সংরক্ষণে আমরা নানামুখি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।ইলিশ প্রজনন মৌসুমের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি আমরা।জাতীয় সম্পদ মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর হতে ২৫ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত মা ইলিশ আহরণ,পরিবহণ,বিপণন ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।দেশের অভ্যন্তরীন নদ- নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান-২০২১ইং পরিচালনা করছে অন্যান্য আইনশৃংখা বাহিনীর মতো বাংলাদেশ পুলিশ।
অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান উপলক্ষে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা আছে।যাতে করে অভিযান শতভাগ সফল হয়।নগরবাড়ী নৌ পুলিশ ফাড়ীর ওসি জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন,আমরা আজ প্রথম দিনে নগরবাড়ী নৌ পুলিশ পদ্মা,
যমুনার বেশ কিছু এলাকায় টহল জোরদার করি।টহলে আমরা ৮জন জেলে ১টি মাছ ধরা নৌকা ও দেড় লক্ষ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল আটক করি।আটককৃত জাল কাজিরহাট ঘাটে এনে জনসম্মূখে পুড়িয়ে ধংশ করে ফেলা হয়।আমাদের এই কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে আমিনপুর থানার ওসি মোঃ রওশন আলী জানান,যেহেতু আমাদের থানা এলাকাটি যমুনা নদীর তীরবর্তী সেহেতু জেলার অন্যান্য থানার চেয়ে আমাদের দায়িত্বটাও একটু বেশি।মা ইলিশ রক্ষায় আমরা আমিনপুর থানা পুলিশ শতভাগ প্রস্তুত আছি।মা ইলিশ আহরণ,পরিবহণ,বিপণন ও মজুদ প্রতিরোধে আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি।অভিযান সফল করার লক্ষে থানায় জনবল বাড়ানো হয়েছে।
সর্বেোপরি জনসাধারণকে সচেতন হওয়ারও আহবান জানান,আমিনপুর থানার ওসি মোঃ রওশন আলী এবং নগরবাড়ী নৌ পুলিশ ফাড়ীর ওসি জাহাঙ্গীর আলম।