মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার আলীনগর-ওয়াইজনগর মোহাম্মদিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা মক্তব বিভাগের ৯ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠেছে ওই মাদরাসার রমজান আলী (২৭) নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় ছাত্রটির দাদি বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।মূল আসামী রমজান আলীকে পালানোর সহায়তা করায় মুহতামিমসহ ৩ শিক্ষককে গ্রেফতার করেছেন থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়,ওই মাদরাসার মক্তব বিভাগের শিক্ষক রমজান আলী গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১ টার দিকে মাদরাসার ভিতরে তার শয়ন কক্ষের বিছানায় ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক শিশুটির পায়ু পথ দিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করে।পায়ু পথে ব্যর্থ হওয়ার পর শিশুটির বুকের ওপর ওঠে রমজান আলী শিশুটির মুখের ভিতর তার যৌন ভাষণা চরিতার্থ করে।
পরে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্যে ছাত্রটিকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন ওই শিক্ষক।অভিযুক্ত রমজান আলী পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার নতুন মানিকনগর গ্রামের আবুল কালামের পুত্র।এদিকে,শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি মাদরাসার মুহতামিম মোঃ সাইফুল ইসলাম ও অন্য দুইশিক্ষক-আব্দুল আউয়াল এবং সাইফুলকে জানালে তারা মূল আসামী রমজান আলীকে পালাতে সহায়তা করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন,ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা নিয়ে মাদরাসার মুহতামিমসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।মূল আসামীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।