মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের দীর্ঘ দিনের চলাচল অনুপোযোগী ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ না হওয়ায় যোগাযোগ ব্যস্থায় মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে ভূমদক্ষিণ – নয়াপাড়া – খাসেরচর হয়ে এবং মেদুলিয়া – ধল্লা – ফোর্ডনগর হয়ে সাভারে যাতায়াতের জন্য এ রাস্তা ব্যবহারকারী লোকজন।
জানা যায় ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার সাথে সিংগাইর উপজেলার লোকজনের যোগাযোগের জন্য হেমায়েতপুর – সিংগাইর- মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ভূমদক্ষিণ বাসস্ট্যান্ডের উত্তর দিকে বাইপাস রোড হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি।এ রাস্তায় অবস্থিত নয়াপাড়া ব্রিজের দুই পাশের রেলিং ভেঁঙ্গে গিয়ে অনেক আগেই বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।তারপর আবার কয়েক বছর যাবত ব্রিজের মূল কাঠামো ভেঁঙ্গে গিয়ে সরু পায়ে হাটার রাস্তায় পরিনত হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত বাধার সম্মুখীন হচ্ছে এ রাস্তা ব্যবহারকারী ধল্লা ইউনিয়নের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীসহ সিংগাইর উপজেলার হাজার হাজার জনগণ এবং চলাচলকারী যানবাহন।বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি বলে জানান স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি।
ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ না হওয়ায় সাধারণ লোকজন বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কার মধ্য দিয়ে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে এ রাস্তায়। এছাড়া কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের লোকজন তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য ব্যবহৃত পরিবহনের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের অভাবে পণ্যের পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাছাড়াও এ এলাকায় নির্মাণাধীন বিভিন্ন শিল্প কারখানা এবং বাড়ি-ঘর তৈরির প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং শিল্প কারখানার উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বাজারজাতকরণে এবং ব্যবহৃত কাচা মাল পরিবহনেও হচ্ছে মারাত্মক অসুবিধা। এমতাবস্থায় এ রাস্তা ব্যবহারকারী লোকজন ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের জোড় দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী রুবায়েত জামান বলেন, এটি উপজেলার খুবই ব্যাস্ততম একটি রোড়। আর এ ব্রিজটি রাস্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এ রাস্তাটি পুনঃনির্মাণে প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণসহ সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে।ব্রিজটি হবে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৮ ফুট প্রস্থ, যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের জন্য খুব শিগ্রই দরপত্র আহব্বান করা হবে বলেও তিনি জানান।