মাদারীপুরের কালকিনিতে আবার ও নয় দিনের ব্যবধানে কালকিনির শিকারমঙ্গল এলাকায় আসাদুল রাঢী(২৫)নামে এক নির্মান শ্রমিকের দুই হাত বাঁধা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।আজ সকালে এ ঘটনা ঘটে।পরিবারের দাবি পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
পুলিশ,সরেজমিন ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানাযায়,উপজেলার শিকারমঙ্গল এলাকার খবির রাঢীর ছেলে আসাদুল রাঢীর গত দুই বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তি ডিমচর এলাকার রিপন গমস্তার মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ চলে আসছে।এক পর্যায় স্ত্রী শারমিন আক্তার স্বামীর বিরুদ্ধে কালকিনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিক্তিক্তে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কয়েক দফা আপস মিমাংসার চেষ্টা করেন এবং পরবর্তিতে ৬০ হাজার টাকা নির্ধারন করে তাদের মাঝে খোলা তালাকের সিদ্ধান্ত নেন।আর আজ বুধবার এ খোলা তালাকের কথা ছিল বলে জানাযায়।তাদের সংসারে সাত মাসের একটি ছেলে রয়েছে।
কয়েক দিন যাবত আসাদুল বাড়িতে ছিল না ভোর রাঁতে আসাদুলের মা ঘরের বাহিরে গেলে দেখতে পায়,গাছের সাথে ঝুলন্ত একটি মরদেহ।ভয়ে আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজনের ছুটে আসলে মরদেহের কাছে গিয়ে দেখে আসাদুল রাঢী।স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে আসাদুলের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরন করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন বলেন,আসাদুল আত্মহত্যা করেনি,এভাবে কেউ আত্মহত্যা করে না।পিছনে হাত বাঁধা,পা মাটিতে,ওরে হত্যা করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।মানবাধিকার কর্মী মোঃ ইব্রাহিম খলিল বলেন,ইদানিং কালকিনিতে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ।গত নয়দিন আগেও কালকিনি পৌরসভার গোপালপুরে এক পল্লী চিকিৎসকের লাশ এভাবেই পাওয়া যায়।
তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় না করলে,অপরাধ আরও বাড়বে।এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন,খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।মামলা দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।