খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়ার কথা বলে তিনজনের কাছে ৪৫ লক্ষ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠেরপাড় গ্রামের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রীর কথিত নাতি পরিচয়দানকারি দাদন ব্যবসায়ী ফরিদুর রহমান জুয়েল।উল্টো চাকরি প্রত্যাশীদের নামে চেক জালিয়াতির মামলা দিয়ে ও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
এরই প্রতিকার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে চাকরি প্রত্যাশী সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার আরএনবি কলোনীর দুলা মিয়ার ছেলে সোহেল রানা লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন,তার পিতা দুলা মিয়া একজন অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মী এবং প্রতারক জুয়েলের পিতাও সাবেক একজন রেলওয়ে কর্মী ছিল।সে সুবাদে তার পিতার সাথে জুয়েলের পূর্ব পরিচিত।
সে তার বাবার কাছ থেকে বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে চাকরি দেয়ার নানা প্রলোভন দেয়।দাদন ব্যবসায়ী ফরিদুর রহমান জুয়েল প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় কথিত নাতি পরিচয় দিয়ে নানাভাবে প্রভাবিত করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে আমানত স্বরুপ তার পিতার স্বাক্ষরিত একটি সাদা চেকের পাতা ও ৩টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়।চাকরি হওয়ার পর উক্ত চেকের পাতা ও স্ট্যাম্প ফেরত দেবে বলে জুয়েল জানায়।
এরপর বিভিন্ন সময়ে চাকরি হচ্ছে,পুলিশ ভেরিফিকেশন,চিঠি তৈরীর অজুহাতে সদর উপজেলার ফুলবাড়ির মৃত আলা বকসের ছেলে মকবুল হোসেন এবং পলাশবাড়ীর হরিণাবাড়ির প্রমোদ চন্দ্র সরকারের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র সরকারের কাছ থেকে ক্যাশ,নগদে ও বিকাশের মাধ্যমে ২৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর দাদন ব্যবসায়ি জুয়েল বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তার পিতার চাকরির পেনশনের সম্পুর্ণ ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদে একযোগে নিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে তার ও অপর দুই জনের চাকরি না হওয়ায় উক্ত টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক জুয়েল উল্টো দুলা মিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ৪০৬/৪২০ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে।এ ঘটনায় সোহেল রানার পিতা দুলা মিয়া ও অপর চাকরি প্রত্যাশী শাহাদুল ইসলামের পিতা মকবুল হোসেন বাদি হয়ে সদর থানায় প্রতারক ফরিদুর রহমান জুয়েলের নামে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে।পুলিশ আসামী জুয়েলকে গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে জুয়েল জামিনে মুক্তি পেয়ে চাকরি প্রত্যাশীসহ তাদের পিতা-মাতাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে।সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবি করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মোঃ মকবুল হোসেন,দুলা মিয়া,কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার,আছির উদ্দিন,ফটু মিয়া ও চঞ্চল মিয়া।