মতলব দক্ষিনে স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে বেধড়ক মার ধরে অচেতন হয়ে গত দু,দিন যাবত হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন মর্জিনা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দুপুরে মতলব দক্ষিন উপজেলার নগদা গ্রামের মৃধা বাড়িতে। আহত মর্জিনা বেগম হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশ ইউনিয়নের দেওদ্রোন গ্রামের শাহ আলম বোয়ালের মেয়ে।
ভারতের স্বজনরা জানায় কত সাত বছর পূর্বে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নাগদা গ্রামের স্বপন মৃধার ছেলে জুয়েলের সাথে মর্জিনা বেগমের পারিবারিকভাবে দিয়ে দেন। তাদের সংসারে মিনহাজ নামের চার বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই জুয়েল পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মর্জিনা বেগমকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেক নির্যাতন করতো। ঘটনার দিন বিকেলেও জুয়েল মৃধা তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে পারিবারিক সামান্য বিষয় নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে বেধড়কভাবে মারধর করে। তার মার ধরে মর্জিনা বেগমের কান থেকেও রক্তপাত হয়। এবং তার মাথায় আঘাত পেয়ে ব্রেনে সমস্যা হয়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
পরে তার স্বামী জুয়েল ও পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মতলব দক্ষিণ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে তার অবস্থা বেগতিক দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুদিনেও তার জ্ঞান ফিরে আসেনি। বর্তমানে মর্জিনা বেগম হাসপাতালের চতুর্থ তলায় মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুয়েলের সাথে বক্তব্য নিতে চাইলে সে হাসপাতাল থেকে গা ঢাকা দিয়ে শটকে পড়েন।
জুয়েল মৃদার মামি রাজিয়া সুলতানা জানান, ঘটনার দিন কিসের টাকা নিয়ে যেনো তাদের স্বামী-স্ত্রীর কথা কাটাকাটির হয়েছে। তাদের টাকা নিয়ে ঝগড়ার কথা আমি শুনতে পেরেছি। পরবর্তীতে ছেলেটি তাকে কয়েকটি থাপ্পড় দিয়েছে। কিন্তু তার পরদিন মর্জিনা অজ্ঞান হয়ে পড়লে আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মতলব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে তারা চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে আহত মর্জিনা বেগমের পরিবার তার স্বামী জুয়েল মৃধা ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।