উপকূলীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অবৈধ জাল উচ্ছেদে ভোলায় দুই মাসব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে মৎস বিভাগ। তার অংশ হিসেবে বুধবার (১৯ জানুয়ারী) সারাদিন সদর উপজেলার তুলাতুলী, ইলিশা ও কাঠির মাথা, জনতাবাজার মাছঘাট ও মেঘনা নদীর মাঝে জেলা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের যৌথ উদ্দোগে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৪ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ২০ মন অবৈধ জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
এসময় জাটকা ধরা ও ক্রয়-বিক্রয়ের দায়ে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এবং এক মৎস্য ব্যবসায়ীর ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত জাটকা ইলিশ বিভিন্ন মাদ্রাসা ও গরিব অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এবং অবৈধ জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা মৎস কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইউছুফ হাসান, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.জামাল হোসেন সহ মৎস্য দফতরের সদস্যরা।
এ সময় ভোলা জেলা মৎস কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান, উপকূলীয় মৎস্য সম্পদ ধ্বংশকারী অবৈধ বেহুন্দী ও অন্যান্য অবৈধ জাল নির্মূল সংক্রান্ত কম্বিং অপারেশন এর অংশ হিসেবে মৎস্য সম্পদ রক্ষার জন্য ছোট ছোট রেনু পোনা ধ্বংসকারী জাল অপসারণের জন্য একটা বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে জেলার ৭ উপজেলায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে সমন্বিতভাবে আমরা এ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে ।
এদিকে জেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, মৎস্য সম্পদ রক্ষার বিশেষ অভিযানে জেলায় প্রায় ৫০০ টি চরঘেরা, বিন্দী, খুঁটি জালসহ অবৈধজাল অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় লক্ষাধিক মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আটক করে ধংশ করা হয়েছে। এছাড়া আজ সকাল থেকে জেলার ৭ উপজেলায় অবৈধ উপায়ে মাছ শিকারের দায়ে ৮৬ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪০ মন জাটকা ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।