ভোলায় মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে আবুল বাশার (৫৫) নামের এক চায়ের দোকানির মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভোলা সদর উপজেলার ৬ নং ধনিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নবীপুর বাঁশতলা গ্রামের বাঁশতালা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।নিহত আবুল বাশার ওই গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো আবুল বাশার তার চায়ের দোকানে সিঙ্গাড়া তৈরি করছিলেন।এ সময় ওই এলাকার বিশ হাওলাদার বাড়ির মোহাম্মদ হাজির মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে জাবেদ দোকানের সামনে এসে চায়ের কাপ ও সিঙ্গাড়া নিয়ে যেতে চায়।দোকানদার তাকে একটু অপেক্ষা করতে বলে,ভাজা শেষ হলে দিবে তাই বসতে বলে।কিন্তু সে তা না শুনেই তার সাথে ঝামেলা করতে থাকে।
এ সময় দোকান মানিক আবুল বাশার তাকে বাঁধা দিলে জাবেদ তাৎক্ষণিক তার হাতে থাকা ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে সেই ছুরি দিয়ে ব্যবসায়ী আবুল বাশারের বুকে ও হাতে এলোপাথাড়ি আঘাত করে।আবুল বাশারের ডাক চিৎকারে পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয়রা আরও জানায়,জাবেদ কিছু দিন বাড়িতে শিকলবন্দি থাকে,আবার তার পরিবার তাকে ছেড়ে দেয়।তাকে কিছু দিন আগে শিকল থেকে ছেড়ে দিয়েছে তার পরিবার।সে এর আগে ও একাধিক মানুষকে ছুরিকাঘাত,লাঠিপেটা, এবং বিভিন্ন ভাবে মানুষের শরীরে আঘাত করেছে।
নিহত আবুল বাশারের ছোট ভাই মোঃ জাকারিয়া অভিযোগ করে বলেন,মোহাম্মদ হাজির ছেলে জাবেদ কোনো মানসিক রোগী নয়।সে আমার ভাই আবুল বাশারের কাছে চাঁদা দাবি করেন।চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ভাইয়ের ওপরে জাবেদ ছুরিকাঘাত করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান,এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই এলাকার মোহাম্মদ হাজির ছেলে জাবেদকে আটক করা হয়েছে।জাবেদ মানসিক ভারসাম্যহীন কি না,তা এখনও বলা যাচ্ছে না।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।