ভোলার লালমমোহন উপজেলায় চলন্ত বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে পুকুরে পরে যায়। জানা যায় শনিবার (৮ জানুয়ারী) জেলা বাস মালিক সমিতির অন্তরভুক্ত একটি বাস ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরফ্যাশন বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোলা সদর এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসেন। ডাইরেক্ট সার্ভিস বাস টি দ্রুতগতিতে অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা পুকুরে গিয়ে পড়ে যায় যায় বাসটি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ডাইরেক্ট বাসটি তার নির্ধারিত সময় পথেই শেষ করে ফেলে, পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টানে পৌছানোর জন্য বাসটি অতিরিক্ত গতিতে চালাচ্ছিলেন ড্রাইভার, যার ফলে বাসটি আবুগঞ্জ বাজার পেরিয়ে অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে রাস্তার সাইডে চলে আসলে ড্রাইভার গাড়িটির কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে, যার ফলে গাড়িটি গতিপথ হারিয়ে পুকুরের মধ্যে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে বাসের মধ্যে আটকে থাকা লোকজনদের উদ্ধার করে। এতে অনেকে আহত হয়েছে আবার অনেকের হাত পা কেটে গেছে বলে জানা যায়।
এ বিষয় স্থানীয় বাসিন্ধা নাজিম, সোহাগ, রশিদ সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অনেকে জানান, ভোলা বাস মালিক সমিতি একটি ক্ষমতাশালী সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আর এ ক্ষমতাশালী সিন্ডিকেটের ক্ষমতার দাপটের কারনেই ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কে প্রতিদিন কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে, কিন্তু এর সঠিক কোনো তদন্ত বা বিচার আজও পর্যন্ত হয় নি। এই অতিরিক্ত ক্ষমতা এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বাসের ড্রাইভারা নিজেদেরকে সকল আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেন। তাইতো তারা কোনো কর্ণপাত না করে মনমত গাড়ি চালান এবং এই মন মত গাড়ি চালানোর কারণেই ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কে প্রতিদিন কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটেই। আমরা সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর দৃষ্টিআকর্ষণ করে বলতে চাই, ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতি কে সাথে নিয়ে ভোলায় প্রতিদিন যে দুর্ঘটনাগুলো ঘুরতেছে তার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় সড়কে দিনদিন দুর্ঘটনা আরো বাড়তে থাকবে এবং দুর্ঘটনার সাথে জড়িতরা শাস্তির আওতায় না আসার কারনে আরও অপরাদ করতে উৎসাহ পাবে।