ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের চরকালিন গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ইয়ানুর নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু কে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চরকালীন গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত অন্তঃসত্ত্বা ইয়ানুর বেগম (২৪) বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের ৭৯ নাম্বার বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ইয়ানুর বেগম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমার ভোগ দখলকৃত বসত বাড়ির আঙ্গিনায় কলা গাছ, সিম গাছ সহ বিভিন্ন ধরনের সবজির গাছ লাগিয়েছি। সবজি গাছ গুলো মাসখানিক ধরে সামছু গংরা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল বেলা চারদিকে যখন কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছে না ঠিক তখনি সামছু ও তার ছেলে তানজিল আমার সিম গাছ থেকে সিম গুলো ছিড়তেছে। আমি ঘর থেকে বাহির হয়ে সিম গাছের কাছে গিয়ে দেখি সামছু ও তার ছেলে তানজিল সিম ছিড়তেছে।
আমি দেখে তাদের কে সিম তুলতে নিষেধ করলে তারা শুনে না, আমি তখন সিম গাছের সামনে গিয়ে দাঁড়াই যাতে ওরা আর সিম না ছিড়ে এবং সেখান থেকে চলে যায়। কিন্তু তারা সেখান খেকে না গিয়ে উল্ঠ শামসুর ছেলে তানজিল আমাকে ধাক্কা দেয়, ধাক্কা দেওয়ার সাথে সাথে সামছু আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। আমি যখন পড়ে যাই তখন বাপ বেটা আমাকে বেধড়ক মারতে থাকে, মারার একপর্যায়ে আমি যখন ডাক চিৎকার দেই তখন আশেপাশের মানুষ শুনে আসতে থাকে, মানুষ জন আসা দেখে সামছু ও তার ছেলে তানজিল ঐ খান থেকে চলে যায়। পরে বাড়ির মহিলারা আমাকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়া আসে।
আহত ইয়ানুরের স্বামী মোঃ কবির ফকির বলেন, আমার বউ কে সামছু ও তার ছেলে তানজিল মেরে রক্তাত্ত করছে, আমি তখন বাড়ি ছিলাম না, আমি বাড়ি এসে দেখি আমার বউর রক্তে সব লাল হয়ে গেছে, আমি তাড়াতাড়ি করে ওকে হাসপাতাল নিয়ে আসি। হাসপাতাল আনার পর ডাক্তার পরিক্ষা করে জানিয়েছেন বাচ্ছা নড়ে গেছে এবং বাচ্ছার অবস্থা বেশি একটা ভালো না, আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, সামছু গংরা এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে নানা রকম অন্যায় অত্যাচার করছে সাধারন মানুষের উপর। তাদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না, নাম প্রকাশ না করা সত্যে স্থানীয় এক বাসিন্ধা জানান, সামছু কিছু দিন আগে নিজের পুত্রবধু কে ধর্ষণ করেন, সেই ধর্ষণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়, কিন্তু টাকা আর ক্ষমতার জোড়ে সে সব সমাধান করে ফেলে তার জন্য ভয়ে তার সাথে কেউ কিছু বলে না।
আহত ইয়ানুরের ভাই ইমরান বলেন আমার অন্তঃসত্ত্বা বোন কে যে পিটিয়ে হত্যা করতে চেয়েছে যারা আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, এই ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ আসেনি, আভিযোগ পেলে তদন্তের সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।