কোভিড ১৯ ভাইরাসে যখন পুরো বিশ্ব থমকে গেছে, আটকে গেছে পৃথিবীর অর্থনৈতিক চাকা। যুবক, যুবতী ও বৃদ্ধ এবং শিশুরা প্রযন্ত যেখানে আজ আতঙ্কিত সেখানে বাংলাদেশের কিছু কিছু মানুষের মধ্যে এ নিয়ে নেই কোন চিন্তা ভাবনা । সম্প্রতি ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্টের আক্রমণে যখন দেশ আতঙ্কিত ঠিক সেই সময় সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য সরকার দেশে গত ১/৭/২০২১ ইং থেকে ১৫/৭/২০২১ ইং পর্যন্ত ১৫ দিনের জন্য কঠোর লকডাউন দিয়েছিলো।
এবং তা পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য সরকার সেনাবাহিনী, বড়ার গাড বাংলাদেশ (বিজিপি), নৌবাহিনী সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে ছিলো। এবং তার সুফল হিসাবে লকডাউন বাস্তবায়ন ও হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে এবং শ্রমজীবী মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার ১৫/৭/২০২১ ইং তারিখে লকডাউন শিথিলতা ঘোষনা করে, তার সাথে সাথে সরকার এই ও ঘোষনা করে যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে কঠোর স্বাস্থবিধি মেনে এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে।
কিন্তু দেশের বেশি ভাগ জায়গার বাস্তব চিত্র ঠিক তার উল্ট। আজ (১৬ জুলাই) ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের গিরিঙ্গি বাজারের কোরবানির গরুর হাটে যেয়ে দেখা যায় সেখানে নেই কোন সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি । শুধুই কি তাই ক্রেতা বা বিক্রেতা কারো মুখেই নেই মাস্ক। ক্রেতারা পরিবার-পরিজন ও শিশুদের নিয়ে বাজারে আসছেন কোরবানির গরু কিনতে। হাটার যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা না থাকায় ক্রেতারা গায়ে গা ঘেষে কেনা কাটা করতে হচ্ছে কোরবানি পশু ।
এখানে নেই কোন সামাজিক সচেতনতা। হাটের ইজারাদাররা মানছেনা কোন নিয়ম কানুন, প্রশাসনের নেই কোন নজরদারি। সরজমিন গুরে আজ এমনটাই দেখা গেছে কোরবানির গরুর হাট গুলোতে । এ বিষয়ে স্থানীয় সুধি সমাজের প্রতিনিধি ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন কোরবানি গরুর হাট গুলোতে যেন প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।