৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পর থেকে এলাকা ছাড়া হয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জুয়েল মাল সহ অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী। ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে সারা সারা দেশের ন্যায় ভোলা সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ও ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে আলীনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড নির্বাচন করেন মেম্বার প্রার্থী জুয়েল মাল। নির্বাচনে পরাজিত হন জুয়েল মাল। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বিজয়ী মেম্বার মাকসুদুর রহমান ও তার কর্মী-সমর্থকদের অব্যাহত হামলা ও মারধর চলতে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরাজিত প্রার্থী জুয়েল মাল কে হত্যার হুমকি দেন বিজয়ী প্রার্থী মেম্বার মাকসুদুর রহমান। হত্যা ও হামলার ভয়ে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জুয়েল মাল ও তার কর্মী সহ অতন্ত ১৫ জন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকা ছেড়ে আসা জুয়েল মাল (৩৮) নামে মেম্বার প্রার্থীর বৃদ্ধা মা মমতাজ বেগম (৬৫) ছেলের সন্ধানের জন্য বসে কাঁদছেন। এ সময়ে তিনি বলেন, ১২ দিন হইছে আমার পোলাগো দেহা নাই। আমার ছেলে ভোটে দাঁড়াও তে মাসুদ মেম্বার ও তার লোকজন ভোটের মধ্যে জুয়েল কে বসিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছিলো। ভোটের সময় থেকে শুরু এখনো আমার বাসার সামনে মাকসুদের লোকজন বোম মারে, যারা জুয়েলের সমর্থন করছিলো তাদেরও হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া আমাদের বসত ভিটা দখলের পাতারা করছে তারা। আমার পাঁচ ছেলে ইকবাল (৪০), জুয়েল (৩৮), সোহেল (৩৬), সোহেব (৩৪), রাজ মিয়া (২৮) সহ জুয়েলের কর্মী মোঃ সবুজ (৩৪), আল-আমিন (৩০), বিল্লাল (২৮), মোতালেব (১৮), সাব্বির আলী(১৭) আয়াবু আলী (২০) ও ফারুক (৫৫) সহ অনেকে এলাকায় আসতে পারে না মাকসুদ মেম্বারের ভয়ে। তারা বিভিন্ন জায়গায় তাদের স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ভোটে হারজিত আছে, তাই বলে এইরকম অত্যাচার আর সইতে পারছিনা। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি তারা দ্রুত এটার সমাধান যেন দেন।
এ ব্যাপার অভিযুক্ত মাকসুদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয় আমি কিছুই জানি না। নির্বাচন শেষে আমি ঐ প্রার্থীর বাড়ীতে গিয়ে বলে আসছি নির্বাচন শেষ আমার কোন বিপক্ষও নেই , আমার সবাই মিলেমিশে এলাকার উন্নয়নের জন্য এক সাথে কাজ করে যাবো।