1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউপিতে জামাল মেম্বারের নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা
বাংলাদেশ । সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউপিতে জামাল মেম্বারের নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা

আর জে শান্ত :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২২
  • ৩৮৫ বার পড়েছে

ভোলা সদর উপজেলার ১২নং উত্তর দিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদপ্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো রুহুল আমিন মাষ্টার এর নারী কর্মীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার পদপ্রার্থী ফকরুল ইসলাম জামালের বিরুদ্ধে। ৫ম ধাপের আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সারা দেশের ন্যায় ভোলা সদর উপজেলায় ও আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে ১২নং উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী রুহুল আমিন মাষ্টার (ফুটবল মার্কা) এর কর্মীদের প্রচারণায় বাঁধা ও প্রচারের জন্য ঘর থেকে বের হতে না দেয়া এবং নারী কর্মীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠছে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার পদপ্রার্থী ফকরুল ইসলাম জামালের (মোরগ মার্কার) বিরুদ্ধে।

সোমবার (৩ জানুয়ারী) সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচারের দাবী জানিয়েছেন ১২নং উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী রুহুল আমিন মাষ্টার (ফুটবল মার্কা) এর নারী কর্মী-সমর্থকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০ টায় ও দুপুর ১২ টায় ১২নং উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী রুহুল আমিন মাষ্টার (ফুটবল মার্কা) এর নারী কর্মী-সমর্থকরা। তাদের প্রার্থী রুহুল আমিন মাস্টার এর পক্ষে ফুটবল মার্কা প্রতীকে ভোট চাইতে ১৫-২০ জন নারী কর্মী-সমর্থক ২নং ওয়ার্ডের সকালে গজারিয়া বাজার এর পাশে লালখা বাড়িতে যান। তারা ভোটারদের কাছে ফুটবল মার্কায় ভোট চাইছেন, এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী ফকরুল ইসলাম জামালের (মোরগ মার্কার) নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটা গ্রুপ লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে রুহুল আমিন মাষ্টার এর নারী কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা নারীদের পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে দেয়, বুকের ওড়না ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া কয়েকজন নারীকে মারধর করেন।

রুহুল আমিন মাষ্টার এর নারী কর্মী মিনারা বেগম (৩৫) বলেন, আমরা ভোট চাইতে গেলে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। তারা কয়েকজন নারীর পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে ও ওড়না ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া আমার হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে। আরেক কর্মী সাজেদা বেগম (৩২) অভিযোগ করে বলেন, প্রথমে ভোট চাইতে বাধা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে কয়েকজনকে মারধর করে ফুটবল মার্কা প্রতীকের লিফলেট গুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং লাঞ্ছিত করা হয়।

ফুটবলের সমর্থক মাকছুরা বেগম (৬০) বলেন, ভোটে একের অধিক প্রার্থী না থাকলে সেটা কিসের ভোট বলেন। প্রতিদিন যদি এ ভাবে হামলা চালাতে থাকে তাহলে ভোটাররা কি ভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবে। ফুটবলের আরেক সমর্থক রিতু আক্তার বলেন, একজন মেম্বার প্রার্থী যিনি বর্তামান রানিং মেম্বার সে কি ভাবে নিজে দাড়িয়ে থেকে তার সন্ত্রাসী দলবল দিয়ে নারীদের গায়ে হাত দিতে বলে। সে যদি মেম্বার হয় তাহলে তো অত্র এলাকা কোন মেয়ে ঠিক মত রাস্তায় চলতে পারবে না। আমি প্রশাসনের কাছে এর কঠিন শাস্তি দাবী করছি।

২নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী রুহুল আমিন মাষ্টার বলেন, আমি জেলা জেলা ছাত্রলীগ জেল্ কমিটির সাবেক নির্বাহী সদস্য, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পারিবারিক ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেন। এবং তারপর থেকেই আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ফকরুল ইসলাম জামাল (মোরগ মার্কার) প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনের শুরু থেকেই আমি ও আমার কর্মীদের উপর দফায় দফায় হামলা চালায়। গত ৩০ তারিখ রাতে আমি বাড়ির বাহিরে ছিলাম, সেই সুযোগে জামালের সন্ত্রাসী গ্রুপ আমার বাড়িতে বোমা হামলা চালায়, হামলা চালানোর পরে রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে এর সময় আমি প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে যেয়ে দেখি তারা আমার এক কর্মীকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে চালান দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিস তৎক্ষণাৎ ঘটনাটি তদন্ত করে, ঠিক সেই সময়ই পুলিশের উপস্থিতিতেই জামালের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ওপর কোনো কারণ ছাড়াই অতর্কিত হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে কুপিয়ে জখম করে। তাদের হামলায় আহত হয়ে আমি দুইদিন ভোলা সদর হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। ডাক্তার আমাকে বেড রেস্টে থাকতে বললেও নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার জন্য আমি হসপিটাল থেকে চলে আসছি, কিন্তু আমি এখনো অসুস্থ।

এরপরে ও জামালের নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিনিয়ত আমার কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা চালাচ্ছে। সর্বশেষ আজ সকাল ১০ টা ২০ মিনিটের সময় আমার নারী কর্মীদের উপর জামাল বাহিনীর সন্ত্রাসী রুবেল, খাইরুল, কামাল, সজীব আলামিন, সাগর, শিমুল, নাহিদ, শাকিল, সাদ্দাম, হাদিসসহ এরা হামলা চালায়। হামলাকারীরা নারীদের পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে, মেয়েদের বুক থেকে ওড়না ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া কয়েকজন নারীকে মারধর করেন। তাদের থেকে ২টি বাটন মোবাইল ও ১ টার্চ মোবাইল চিনিয়ে নিয়ে যায়। এবং তাদেরকে লাঞ্ছিত করেন।

সন্ত্রাসী জামাল বাহিনী আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকদের মাঠে নামতে দিচ্ছে না। নির্বাচনী কার্যালয় দখল করে নিয়েছে এবং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থান থেকে আমার পোস্টার গুলো ছিড়ে ফেলছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে আমি শঙ্কায় আছি। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি ও নির্বাচন কমিশনার এবং প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন, তারা যেন এই দুই নং ওয়ার্ডে এরকম একটি পরিবেশ তৈরি করে দেন, যেন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে ফলাফল যা হবে আমি মেনে নিব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD