ভোলায় চেক জালিয়াতির সাক্ষী হওয়ায় সাক্ষীর ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল গফুর এর ছেলে কামরুল ইসলাম (২৮) এর উপর এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে রোববার (৩ জুন) গভীর রাতে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে তাঁর হাত ও পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। গুরুতর আহত কামরুল ইসলাম বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ২২ নাম্বার বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর চটকি মারা বাজারের একজন পল্লী চিকিৎস।
ভুক্তভোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি কিনার কথা বলে পল্লী চিকিৎসক রাসেল আবুল কালামের (৩৬) কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নেন। সেই টাকা দিয়ে জমি কিনে রাসেল তার নিজের নামে জমির দলিল করে নেয়। আবুল কালাম তার টাকা তাকে বুঝিয়ে দিতে বললে রাসেল আবুল কালাম কে ১২ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করে বলেন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে । আবুল কালাম টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে গিয়ে দেখেন উক্ত একাউন্ট তিন বছর আগে বন্ধ করা হয়েছে ।
রাসেলের কাছে পুনরায় টাকা চাইতে গেলে আবুল কালাম ,এর হাত থেকে চেকটি জোর করে নিয়ে ছিড়ে ফেলেন রাসেল । উক্ত ঘটনায় চর চটকি মারা বাজারের পল্লী চিকিৎসক কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন বলে গতকাল গভীর রাতে রাসেল (২৭) আল আমিন (৩৫)
সবুজ (২০) তাকির (১৯) দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কামরুল ইসলামের উপর হামলা ও তার ক্যাশ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।
ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও চর চটকি মারা বাজারের ব্যবসায়ীর সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনির উক্ত ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন ।হামলার বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত রাসেল এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মুঠোফোন টি বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আহত কামরুল ইসলাম এর ফুফাতো ভাই মালেক মাঝি বলেন, আমার ভাই কে হত্যার উদ্দেশ্যে গভীর রাতে রাসেল দলবল নিয়ে তার উপর হামলা করে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর কঠিন বিচার দাবি করছি ।ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি, লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।