ভৈরব নদ থেকে ১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকার ভৈরব নদ থেকে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে।
নওয়াপাড়া নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ভৈরব নদের যশোর সদর উপজেলার আফ্রা থেকে অভয়নগর উপজেলার মজুদখালী খাল পর্যন্ত নওয়াপাড়া নদীবন্দর। নদীবন্দর এলাকায় নদের উভয় তীরে মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার। নদের এক পাশের তীরের নয় কিলোমিটার খুলনার ফুলতলা উপজেলার মধ্যে অবস্থিত। নদীবন্দর এলাকায় স্থাপনা রয়েছে ৮৫ টি এর মধ্য বিআইডব্লিউটিএ এক্সাভেটর দিয়ে খুলনার ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা থেকে ফুলতলা বাজার পর্যন্ত ১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। নদের মধ্যে বাঁশ দিয়ে বেষ্টনী তৈরি করে মাটি ভরাট করে তৈরি করা পাঁচটি জেটি, দুটি স্টিলের জেটি এবং তিনটি টংঘর উচ্ছেদ করে।
সূত্র জানায়, অভয়নগর উপজেলার অংশে ভৈরব নদের তীরে অবৈধ স্থাপনা ছিল ৮৬টি । ২০১৬ সালের অক্টোবরে দুই দফা অভিযান চালিয়ে এরমধ্যে ৫৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অবশিষ্ট ২৭টি স্থাপনার মধ্যে আঞ্চলিক কর কমিশনারের ভাড়া করা কার্যালয়, নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার সীমানাপ্রাচীর এবং কয়েকজন প্রভাবশালী বড় ব্যবসায়ীর গুদাম রয়েছে। এ কারণে তখন উচ্ছেদ অভিযান আর এগোয়নি। গতবছর করোনাকালে শ্রমিকের পরিবর্তে যান্ত্রিকভাবে (লং বুম এস্কেভেটর দিয়ে) বার্জ, কার্গো ও কোস্টার থেকে পণ্য খালাস করতে নদের মধ্যে ২২টি জেটি নির্মাণ করা হয়। মাটি ভরাট করে তৈরি এসব জেটিও পরে আর অপসারণ করা হয়নি।গতবছরের(২০২০) ডিসেম্বর মাসে দুইদফা অভিযান চালিয়ে অভয়নগর উপজেলার তালতলা থেকে চেঙ্গুটিয়া পর্যন্ত ২৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান চলাকালে খুলনার ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন, ফুলতলা থানার উপপরিদর্শক(এসআই) সুশান্ত কুমার পাল, নওয়াপাড়া নদীবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মাসুদ পারভেজ, নওয়াপাড়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক(এসআই) মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদের বিষয়ে নওয়াপাড়া নদীবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, নদীবন্দর এলাকায় ভৈরব নদে ৮৬টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। আজ বুধবার অভিযান চালিয়ে এর মধ্যে ১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকেবে। পর্যায়ক্রমে অভিযান চালিয়ে নদের সবগুলো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।