1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ট দৌলতপুরের মানুষ!
বাংলাদেশ । বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ট দৌলতপুরের মানুষ!

মিজানুর রহমান:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
  • ২৫৫ বার পড়েছে

কুষ্টিয়া দৌলতপুরে প্রায় ২শ ৫০ জন গ্রাহকের মার্চ মাসের বিদ্যুতের বিল এসেছে দ্বীগুন থেকে পাঁচ-ছয় গুনেরও বেশি। এমাসে মার্চের বিলের কাগজ হাতে পেয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। তবে গ্রাহকের অভিযোগ, গত কয়েক মাস মিটার রিডার মিটারের কাছে না এসে অফিসে বসেই এই ভৌতিক বিল তৈরী করেছে।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে অতিরিক্ত গরমের কারনে এমাসে  বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের প্রায় ২শ ৫০ জন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল এসেছে লাগামহীন। এতে ক্ষুব্ধ অত্র গ্রামের পল্লিবিদ্যুতের গ্রাহকেরা। ধর্মদহ গ্রামের আ: সামাদ বলেন, আমার দুটি আবাসিক মিটার নেয়া আছে, ফেব্রুয়ারী মাসে একটিতে ৩১৭ টাকা বিল এসেছিলো কিন্তু মার্চ মাসে ওই মিটারে ৮শ ১০ টাকা এসেছে অপর আরেকটি মিটারে ফেব্রুয়ারী মাসের ১৩৫ টাকা বিল এসেছিলো কিন্তু মার্চের বিল এসেছে ৫০৭ টাকা বিল, এটা ভুতুড়ে বিল ছাড়া কিছুইনা।

একই গ্রামের মাসিকুল ইসলাম জানান, ফেব্রুযারীর (আবাসিক) বিদ্যুৎ বিল দিয়েছি ২শ ৬৭ টাকা মার্চের ৬শ ৫৮ টাকা এসেছে। ওই গ্রামের মজিবর রহমান বলেন, দুই দোকানে বানিজ্যিক মিটার লাগানো, দুটির একটিতে গত ফেব্রুয়ারী মাসে ৪শ ১৬ টাকা বিল দেয়া হয়েছে কিন্তু মার্চ মাসের ৩ হাজার ৬শ ৫৭ টাকা বিল এসেছে। অপর আরেকটি মিটারে ফেব্রুয়ারীর ১শ ৯৪ টাকা পরিশোধ করেছি কিন্তু মার্চ মাসের ৬শ ৫১ টাকা বিল এসেছে। এটা ভুতুড়ে বিল করা হয়েছে।

এছাড়াও জামাল হোসেন নামের আরেক গ্রাহক জানান, ফেব্রুয়ারীর ৪শ টাকা পরিশোধ করেছি কিন্তু মার্চ মাসের ১১শ টাকা বিল এসেছে। একই এলাকার আরেক গ্রাহক লাভলু বলেন, ফেব্রুয়ারীর তুলনায় মার্চ মাসের বিল এসেছে কয়েক গুন টাকা দিনমুজুরের পক্ষে এধরনের বিল দেয়া কষ্টকর।

এব্যাপারে প্রাগপুর সাব-জোনাল অফিসের মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার দায়েম উদ্দীনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শীতের পরপরই রমজান ও প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ বেশি ব্যাবহার করেছে গ্রাহকরা যার কারনে এমাসে সব গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। বাড়ী বাড়ী গিয়ে মিটার রিডিং না করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি প্রতি মাসেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং করে থাকি।

কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রাগপুর সাব-জোনাল অফিসের এ.জি.এম মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউপির ধর্মদহ গ্রাম থেকে এধরনের বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। তবে গত দুই মাসে মিটার রিডার দায়েম উদ্দীন সরেজমিনে গিয়ে রিডিং নেইনি তার পরেও মার্চ মাসের রিডিং এপ্রিলের ৯ তারিখে রিডিং করার কথা থাকলেও ৪৭ দিনের রিডিং করেছে এপ্রিলের ২২ তারিখে, এদিকে প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময়ের বিল এসেছে এমাসে। যার কারনে বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। তবে মিটার রিডার দায়েম উদ্দীনের বিরুদ্ধে ওই গ্রামের জনিরুল নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, আমি কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর পাঠিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD