1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. admindailykaljoyi@gmail.com : admindailykaljoyi :
  3. kaljoyi@gmail.com : kaljoyi :
  4. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
ভুট্টার কাণ্ড ও মোচা পচন দুশ্চিন্তায় বিনিদ্র রাত কাটছে চাষিদের
বাংলাদেশ । রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
যৌতুকের প্রাইভেট কার চালানো শিখতে দুর্ঘটনা: আহত-৪ সড়ক পথে প্রতিদিন ঝরেছে ১৫ প্রাণ : সেভ দ্য রোড কুমিল্লায় সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হকসহ ১২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা চৌদ্দগ্রামে নারীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা হামলাকারী গ্রেফতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক মানোন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি : সেতু সচিব চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৭৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা নীলফামারীতে অনলাইন ভিসা প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার র‍্যাব পরিচয়ে সিএনজি ছিনতাই জিপিএস ট্র্যাকিংয়ে ছিনতাইকারী গ্রেফতার ডিমলায় ৯ মাসের অন্ত:সত্বা নারীসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার স্ত্রীর ডিভোর্স লেটার পেয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

ভুট্টার কাণ্ড ও মোচা পচন দুশ্চিন্তায় বিনিদ্র রাত কাটছে চাষিদের

কংকনা রায় :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৪৭৯ বার পড়েছে

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নে ভুট্টা কাণ্ড ও মোচার গোড়ায় পচন রোগ আক্রান্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় বিনিদ্র রাত কাটছে ভুট্টা চাষিদের। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে এ রোগের দেখা না মিললেও মিলেছে শুধু শিবনগর ইউনিয়নেই। তবে সে এলাকার কৃষকরা দুষছেন দুর্জয়-৫৫৭৭ ভুট্টা বীজকে আর কৃষি বিভাগ দুষছেন মাটিকে।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ধার-দেনা করে কিংবা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে যারা স্বপ্ন বুনছিলেন নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তারাই এখন হতাশ কিভাবে শোধ করবেন ধার-দেনা।সরেজমিনে শিবনগর ইউনিয়নের দাদপুর, মালিপাড়া, দক্ষিণ বাসুদেবপুর ও নূরপুর গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেতে ভুট্টার কাণ্ড ও মোচার গোড়ায় পচন আক্রান্ত হয়েছে। ভুট্টা গাছগুলো গোড়া থেকে শুখিয়ে আসছে। গাছে ভুট্টা আসলেও তা পরিপক্ক হওয়ার আগেই শুখিয়ে গেছে।

ফলে ভুট্টা দানা ছোট ও অপরিপক্ক থেকে যাচ্ছে। যা দেখে হতাশায় ভুগছেন ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব ভুট্টা চাষিরা। তবে বাঁকি ইউনিয়নগুলো ঘুরে দেখলেও কোথাও দেখা মিলেনি এই রোগের। অন্যান্য ইউনিয়নের ভুট্টাক্ষেতগুলো লগ লগ করছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় সে ক্ষেত চাষীরা বুনছেন রঙিন স্বপ্ন।

জানা যায়, ওই গ্রামগুলোতে হঠাৎ করে ছত্রাক জাতীয় ব্লাস্ট রোগে ভুট্টার মোচার গোড়ায় পচন ধরায় সেটি অপরিপক্ক অবস্থাতেই মাটিতে পরে বিনষ্ট হচ্ছে। বিভিন্নভাবে ওষুধ স্প্রে করেও মিলছে না প্রতিকার। ফলে অনেক আশা করে টাকা লগ্নি করে ভুট্টা চাষ এখন তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ছাড়াও যারা ব্যাংক, এনজিও এবং ধার-দেনা করে ঘুড়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন তারাই এখন ভুট্টার ফলন বিপর্যয়ে হতাশ এবং বিপর্যস্ত! কিভাবে ধার-দেনা মেটাবেন এই দুশ্চিন্তায় কাটছে বিনিদ্র রাত। আক্ষেপের আরেকটা কারণ হলো, গতবার যে ভুট্টার দাম ছিল ৭০০ টাকা সেই ভুট্টার দাম উঠেছে এখন ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। দাম বাড়লেও ভুট্টা নষ্ট হওয়ায় লাভের আশায় এখন গুড়েবালি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতবছর এ উপজেলার ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ করা হয়। ভুট্টা উৎপাদন হয় ৩৯ হাজার ১৮০ মেট্রিকটন। যা গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রতি ১২ মেট্রিকটন। চলতি বছরে ৩ হাজার ৭৮৯ হক্টের জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়। এবছর ৪৫ হাজার ৫৭৬ মেট্রিকটন ভুট্টা উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দাদপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি দুই সহোদর মোকাররম হোসেন ও মোস্তাক আহম্মেদ জানান, তারা সাড়ে তিন বিঘা জমি বর্গা (ব্যক্তি লীজ) নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছেন। কিন্তু রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের প্রায় পৌঁনে দুই বিঘা জমির ভুট্টা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তারা আসল নিয়ে টানাটানি পড়ে গেছে।

শুধু তাদের নয় ওই গ্রামের মজিবর রহমান ও আজিবর রহমানের ৯ বিঘা, মিজানুর রহমানের ৩০ শতক ও লুৎফর রহমানের ৫ বিঘা ভুট্টা ক্ষেতে একই সমস্যা। নূরপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি মাহবুব আলম বলেন, আমি ৪৫ শতক জমিতে দুর্জয়-৫৫৭৭ জাতের ভুট্টা বীজ রোপণ করি। রোপণ থেকে শুরু করে সবমিলে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালোভাবেই ভুট্টাগাছগুলো বড় হয়েছে, মোচাও এসেছে।

কিন্তু দানা আসার সময় হঠাৎ গাছগুলো শুখিয়ে যেতে ধরে। প্রথমে ভেবেছিলাম ভুট্টা পরিপক্ক হয়েছে তাই শুখিয়ে যাচ্ছে কিন্তু না দুই তিনদিনে পুরো জমির সব গাছ শুকিয়ে যেতে ধরে। পরে বুঝলাম এটি রোগ। ভুট্টা হয়েছে ঠিকই কিন্তু দানা ছোট হয়েছে। এখন ভুট্টার ফলন হলেও ভুট্টার ওজন কম হবে। ফলে যেখানে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায় ভুট্টা বিক্রির আশা ছিল এখন ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকাও পাবো কিনা সন্দেহ আছে।

দাদপুর গ্রামের মমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগাই। গাছগুলো বেশ ভালোই হয়েছিল। কিন্তু মোচায় দানা আসার পর হঠাৎ সবগাছ শুখিয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করছি সেগুলো ঠিক করার। না হলে ক্ষতি থেকে রক্ষা নেই। কৃষি অফিস থেকেও কেউ আসেনা পরামর্শ বা ওষুধ দিতে।

দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি শরিফুল ইসলাম বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি। পরে টাকা কমতি পড়ায় লাভের উপর টাকা নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছি। ভেবেছিলাম ভুট্টা তুলে পরে টাকা পরিশোধ করব। এখন দেখি অর্ধেক জমির ভুট্টা শেষ। বাকিটায় ওষুধ স্প্রে করে রক্ষা করার চেষ্টা করছি। এখন আমি মাঠে মারা গেলাম।

শরিফুল ও মমিনুলের মতো প্রায় একই অবস্থা হয়েছে ওই ইউনিয়নের ভুট্টা চাষিদের। তাদের দাবি, যারা দুর্জয়-৫৫৭৭ জাতের ভুট্টা বীজ ব্যবহার করেছেন তারাই বেশিরভাগ ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। দেরিতে রোগ ধরা পড়ায় ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়েছে।

পৌরএলাকার চকচকা গ্রামের ভুট্টা চাষি মমতাজ উদ্দিন ও মাহবুব আলম বলেন, আমরাও দুর্জয়-৫৫৭৭ জাতের ভুট্টা বীজ লাগিয়েছি। কই আমাদের কারো জমিতে তো এধরণের সমস্য দেখা দেয়নি। যাদের জমিতে এধরণের সমস্য হচ্ছে, সে জমির পুষ্টি কম। সেগুলোতে বেশি করে জৈব সার দিতে হবে। তবেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, যে জমিগুলোতে সমস্য, সে জমিগুলো আমি দেখেছি। দাদপুর গ্রামের কিছু জমিতে সমস্যাটি দেখা দিয়েছে। লাল মাটিতে যাদের জমি আছে সেখানে সমস্যাটি বেশি দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার মাটিতে ব্যাপক পরিমাণে পুষ্টির ঘাটতি আছে।

কৃষকরা জমিগুলোতে টিএসপি আর ডেফথ করে। এগুলো গাছে বেশি দিলে গাছ পুষ্টি নিতে পারেনা। ফলে পুষ্টি ঘাটটি হয়। আরেকটা সমস্য দেখলাম ভুট্টার ওই একি জাত তারা কয়েক বছর থেকে চাষ করছে। ফলে জমির পুষ্টি হারাচ্ছে। পুষ্টির অভাবে কাণ্ড পঁচা রোগটি দেখা দিচ্ছে। এখন ভুট্টা মোচা অবস্থায় আছে, এখন স্প্রে করাও বৃথা। সমস্যাটি দীর্ঘদিন থেকে বড় আকার ধারণ করেছে। প্রথমেই স্প্রে করলে রোগটি বৃদ্ধি পেত না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১

togel online menjadi hiburan favorit bagi banyak pemain yang menyukai tantangan angka. Menggabungkan ketajaman analisis dan faktor keberuntungan sering kali menghasilkan kemenangan yang memuaskan.

Bermain di slot gacor hari ini menawarkan sensasi unik berkat tampilannya yang simpel namun memanjakan pemain. Cocok dinikmati siapa saja yang mencari peluang kemenangan di setiap putaran.

Menurut pengalaman banyak pemain, slot gacor memberi peluang jackpot yang cukup tinggi karena sistemnya yang transparan dan mudah dipahami.

Untuk pemain yang jeli membaca momen, link slot777 menyuguhkan kesempatan menang besar bahkan dengan modal yang tidak terlalu besar.

Dengan strategi tepat, slot online bisa menjadi sarana terbaik untuk berburu hadiah besar sekaligus mengatur permainan dengan bijak.

togel online menghadirkan pilihan pasaran resmi yang beragam, memberi peluang bagi pemain untuk mencoba berbagai pola dan teknik bermain.

togel online menawarkan variasi permainan yang luas, disertai promo menarik untuk memperbesar peluang menang setiap harinya.

Berpartisipasi di toto resmi memberi kesempatan pemain menguji strategi dan keberuntungan demi meraih hadiah bernilai tinggi.

প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD