কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত ইস্রাফিল নামের এক তরুন। পরিবারের কাছে বিচার চাইলে ক্ষুব্ধ হয়ে জোরপূর্বক অপহরন করে ধর্ষন করার অভিযোগে মো. ইস্রাফিল (২০) নামের এক কিশোরকে গত শুক্রবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত কিশোর ইস্রাফিল ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দক্ষিণ শশীদল গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১২)কে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত ইস্রাফিল। এ ঘটনায় তার অভিভাবকের কাছেও বিচার দেওয়া হয়েছে। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে ইস্রাফিল ও তার দুই সহযোগী গত ৩০ জুলাই সন্ধায় ওই স্কুল ছাত্রীকে বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে একটি প্রাইভেট করে তুলে নিয়ে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানার লতিফপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে ইস্রাফিল। পরে মেয়েটি গোপনে ফোন করে বাবার কাছে ঠিকানা বলে দেয়। ওই দিনই স্কুল ছাত্রীর বাবা ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছে। পরে স্কুল ছাত্রীর বাবা ব্রাহ্মণপাড়া পুলিশের সহযোগীতায় গত শুক্রবার গাজীপুর থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে। এ সময় ইস্রাফিলকে গ্রেফতার করেন ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত শুক্রবার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ইস্রাফিলকে প্রধান আসামী করে তার দুইসহযোগী একই গ্রামের হাবিবুর রহমান (২২) ও আল-মামুন (৩৫)কে আসামী করে ধর্ষণ ও অপহরনের মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ স্কুল ছাত্রীকে আজ শনিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করেছেন এবং কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, সপ্তম শ্রেণীর কে স্কুল ছাত্রীকে অপহরন ও ধর্ষনের অভিযোগে থানায় ইস্রাফিলকে প্রধান আসামী করে তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। ইস্রাফিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং সে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ইস্রাফিলকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।