কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় দুই এস.আইসহ চার পুলিশকে আহত করে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অন্যতম আসামি লোকমান হোসেন (৩৭) সহ তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ব্রাহ্মণপাড়া থানাপুলিশ। গত রোববার রাতে কুমিল্লা শহরের একটি বাসা থেকে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের জামাল হোসেনের খানের ছেলে লোকমান হোসেন খান (৩৭), একই গ্রামের ইসহাক খান (২৫), হাবিবুর রহমান (২৫), হৃদয় মুন্সী (২২) বড়ধুশিয়া গ্রামের লুৎফুর রহমান (১৯)। উল্লেখ্য, মাদক মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের জামাল হোসেন খানের ছেলে লোকমান হোসেন খান (৩৭) কে গ্রেফতার করতে গত মঙ্গলবার ৩ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় তাকে আটক করে পুলিশ তাঁর দেহ তল্লাশী করছেন। এ সময় তাঁর অন্যসহযোগীরা দা, লাঠি-সোটা নিয়ে পুলিশের উপর আক্রম চালিয়ে তাদেরকে মারধোর করে লোকমানকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় লোকমানের সহযোগীদের হামলায় এস.আই সাইফুল ইসলাম, এস.আই কামাল হোসেন, এ.এস.আই কৃষ্ণ সরকার ও পুলিশ কনস্টেবল নুরুজ্জামান আহত হয়। তারা এ সময় পুলিশের ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।
পুলিশের উপর আক্রমনের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহার নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করেন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল কালাম আজাদ, ইকবাল হোসেন ও এনামুলকে গ্রেফতার করেন। পুলিশের উপর আক্রমন, সরকারি কাঝে বাঁধার অভিযোগে পুলিশের এস.আই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে আবুল কালাম আজাদ ওরফে খোকনকে প্রধান আসামী করে ১০জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০/১২জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।
সেই থেকে লোকমান হোসেনসহ অন্য আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। গত সোমবার রাতে কুমিল্লা সিটি কোর্পোরেশন এলাকার একটি গোপন আস্তানা থেকে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ লোকমানকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় পুলিশের মারধরের মামলার অন্যতম আসামী ইসহাক খান (২৫), হাবিবুর রহমান (২৫) এবং অজ্ঞাত আসামী থেকে হৃদয় মুন্সী (২২) লুৎফুর রহমান (১৯)কেও গ্রেফতার করেছেন।
ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, লোকমান হোসেন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্ধর্ষ ডাকাত। তার বিরুদ্ধে, খুন, ডাকাতি, মাদক, চুরিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। তাকে আটক করে দেহ তল্লাসীর সময় তাঁর সহযোগীরা পুলিশের উপর আক্রমন ও মারধর করে ছিনিয়ে নিয়েছিল। লোকমানসহ পাঁচসহযোগীকে রোববার রাতে কুমিল্লা শহরের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ড শুনানি হয়নি।