পবিত্র ঈদ- উল আযহা উপলক্ষে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সরাইলে জমে উঠেছে পশুর হাট। আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই ) হাজার হাজার দেশীয় গরু-ছাগল নিয়ে বিক্রেতারা আসছেন উপজেলার ঐতিহ্য গরু বাজারে পশুর হাটে। বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর পশু পালনেঅধিক খরচ হলেও গত বছরের চেয়ে কম দাম চাওয়া হচ্ছে পশুর। এরপরও ক্রেতারা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
সরেজমিনে আজ সরাইল পশুর বাজারে গেলে মমিন নামের এক ব্যপারে বলেন, আট-টি গরু নিয়া আইলে এখন পযর্ন্ত কোন গরু বিক্রি করতে পারলাম না। গরু পালনে ও বাজারে আনা খরচ থেকে কম দাম বলে। আর বাজারে ক্রেতা অনেক কম। আর যে দাম বলে আমার অনেক লসের মাঝে আছি। এখন পুজি নিয়ে দুশ্চিন্তায়। কি লাভ করমু।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। তাই সামর্থ অনুযায়ী গরু-ছাগল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
উপজেলার সদরের পশুর হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পশুর হাটে বিপুল পরিমাণ গরু, মহিষ, ও ছাগল বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। এছাড়া হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতাদের।বিক্রেতা আলম,আনিছ জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর দেশীয় পদ্ধতিতে আমরা গরু, মহিষ ও ছাগল পালন করতে অনেক টাকা খরচ। তাই কোরবানির হাটে পশুগুলোর দাম একটু বেশি রয়েছে।
কিন্তু আমরা যদি গরুর দাম দেড় লাখ চাই তাহলে ক্রেতারা তার দাম বলেন ৭৫-৮০ হাজার, আর যদি এক লাখ টাকা চাই তাহলে ক্রেতারা বলেন ৬০-৭০ হাজার। মহিষের দাম নব্বই হাজার বা এক লাখ চাইলে আশি হাজার বলে।কোনো কোনো ক্রেতা দাম বেশি দিয়ে কিনে নেন। আবার কিছু ক্রেতা দাম শুনে চলে যান।তারা আরো জানান, বেশি দামে বিক্রি করতে না পারলে তাদের অনেক লোকসান গুনতে হবে।
এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।মো. কাজলসহ অনেক ক্রেতা জানান, কোরবানির পশু কেনার জন্য হাটে এসেছেন। কিন্তু বিক্রেতারা গত বছরের চেয়ে এ বছর পশুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন। ফলে সামর্থ অনুযায়ী, পশু কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।তারা আরও জানান, আরও এক-দুইদিন হাটে যাবো। যদি দাম কিছুটা কমে তাহলে ভালো, নাহলে বেশি দামেই কিনতে হবে।
সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম,কোরবানির পশুর হাটে উপজেলার ৩টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। কেউ অবৈধ উপায়ে মোটাতাজা করা ও অসুস্থ গরু নিয়ে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বতর্মান সরকারের নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাইল উপজেলায় ৮টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে।