জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। প্রথম দিন বৃহস্পতিবার উপজেলার সাহেবাবাদ ডিগ্রী কলেজ মাঠে বসেছে এই পশুর হাট।সকাল থেকে বসা এই হাটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা গাঁ-ঘেঁষাঘেঁষি করে পশু কেনাকাটা করছে মানুষ। বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই।হাট ঘুরে দেখা যায়, হাজারের বেশি গরু-ছাগল হাটে এনেছেন বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম। অনেকেই একসঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।তাদের মুখে মাস্ক নেই।
স্থানীয় কৃষক ও গরু বিক্রেতা জজু মিয়া জানান, বাজারে হাজারের বেশি গরু-ছাগল উঠেছে। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। তিনি সাতটি গরু এনেছেন। চারটি ৬০-৬৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। যেগুলো বিক্রি করেছেন সেগুলোর ওজন ১১০-১২০ কেজি ছিল। যে তিনটি বিক্রি করতে পারেননি সেগুলো ১৪০-১৫০ কেজি ওজনের। ৭৫-৮০ হাজার টাকা হলে বিক্রি করবেন।গাঁ-ঘেঁষাঘেঁষি করে পশু কেনাকাটা করছে মানুষ গরু বিক্রেতা বারেক মিয়া জানান, হাটে দুটি গরু এনেছেন তিনি।এক লাখ টাকা করে দাম চাচ্ছেন।
কিন্তু ক্রেতারা ৮০ হাজারের বেশি দাম বলছেন না। এই দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে তার। বাজারে ক্রেতা নেই, বাইরের ক্রেতারাও আসতে পারেননি। তাই দাম কম।গরু ব্যবসায়ী নুরু মিয়া জানান, তার ১০টি গরুর একটিও বিক্রি করতে পারেননি। আগে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা গরু কিনতে আসতেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে এবার তারা আসেননি। স্থানীয় ক্রেতাও খুব বেশি নেই।
হাটে বেশিরভাগ লোক দেখতে এসেছেন। ক্রেতা সোহাগ রানা বলেন, প্রথম দিন দেখতে এসেছি। যদি মিলাতে পারি তাহলে গরু কিনে নিবো।
তবে সামাজিক দুরত্ব মানা, মুখে মাস্ক লাগানো, পর্যাপ্ত পরিমানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ ইজারাদারদের স্বাস্থ্যবিধির প্রতি নজর রাখার কথা ছিলো। কিন্তু হাটে কাউকে তেমন একটা লক্ষ্য করা যায় নি। এতে করোনা সংক্রমন বাড়বে বলে মনে করেন সচেতন মহল।