কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অধিকাংশ পণ্য বর্তমান বাজারে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ক্রেতাদের দাবি, অর্থলোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকার অধিক বেশি দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন প্রতিটি পণ্য। ফলে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে বাজার। এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা, হাজারও অভিযোগ উঠে আসছে খুচরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, পেয়াজ প্রতি কেজি দেশী ৪০ থেকে ৫০ টাকা, রসুন দেশী ৭০ থেকে ১০০ টাকা, রসুন ইন্ডিয়ান ৮০ টাকা থেকে পর্যায়ক্রমে ১২০ টাকা, মশুর ডাল ৭০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, কাচাঁ মরিচ ৪০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, শসা ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, শসা দেশী ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৮০ টাকা, টমাটো ৪০ থেকে ৮০টাকা, আলু ১৮ থেকে ২২ টাকা, ঢেরশ ৩০ থেকে ৪০টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগ ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, কক মুরগ ১৮০ থেকে ২৫০, লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা, বটবটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, দুধের কেজি ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়াও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যপক হারে। মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে টানটান বাকবিতন্ডা চলছে।
ব্রাহ্মণপাড়া সদরের সবজি বাজারে আসা ক্রেতা ফারুক আহমেদ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় যা কিছু আছে সবই আকাশ ছোঁয়া দাম। যাই কিন্তে চাই ৬০ টাকার কেজির নিচে কোন সবজি নাই ২-৩ পদের কাঁচা সবজি কিনে টাকা থাকে না। অন্য খরচ কিনবো কি করে। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হয়।
নাম না জানানোর শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, তাদের পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী ক্রয় করতে হয়। দাম বেশি দিয়ে পাইকারী বাজার থেকে কিনে নিয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি করে মূল্য বেশি না পেলে লোকসান খেতে হয় তাদের।