কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ওয়ার্ডভিত্তিক অস্থায়ী করোনা টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভোর থেকে টিকা গ্রহীতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গিয়েছে, টিকা গ্রহণের নিবন্ধন কার্ড হাতে নিয়ে নারী পুরুষ আলাদা আলাদা কয়েকটি লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। পরে সকাল ৯ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ধারিত সময়ে উপজেলার সকল অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে একযোগে টিকা প্রধান কার্যক্রম শুরু করা হয়। কেন্দ্রগুলোতে একদিকে যেমন টিকা গ্রহীতার সংখ্যা কমে, অন্যদিকে টিকা না পাওয়ার সন্দেহে তারচেয়েও বেশি টিকা গ্রহিতা এসে ভীড় করে। এতে টিকা প্রদানে হিমশিম খেতে হয়েছে টিকা প্রদানকারী ব্যক্তিদের।
সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ওয়ার্ডভিত্তিক ৮টি অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে ৬০০ করে মোট ৪৮০০ টিকা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে প্রতি ইউনিয়নের ১.২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মানুষদের মাঝে ২০০ করে তিনটি ওয়ার্ডে মোট ৬০০ টিকা প্রদান করা হয়। টিকা প্রদানের সংখ্যা কম হওয়ায় উৎসুক টিকা গ্রহীতা মানুষ ভোর থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে এসে ভিড় জমাতে থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সকল ৯টায় সারাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়ও ৮টি ইউনিয়নের ওয়ার্ডভিত্তিক ৮টি অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে টিকা প্রধান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০ করে ৮টি অস্থায়ী কেন্দ্রে মোট ৪৮০০ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিক ছিল।
গতকাল শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলার মহালক্ষীপাড়া শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ওই সদর ইউনিয়নের ওয়ার্ডভিত্তিক টিকা প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া সিদ্দিকা। পরে তিনি বেশ কয়েকটি অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মবিন, ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা প্রমুখ।