কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। ৯ জুলাই শুক্রবার দুপুর থেকে থেমে থেমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহালক্ষীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহালক্ষীপাড়া এলাকায় কালো ও লাল রঙ মিশ্রিত একটি পাগলা কুকুর হঠাৎ মানুষের ওপর চড়াও হয়। এরপরই ধারাবাহিকভাবে ঐ এলাকার মানুষকে কামড়ানো শুরু করে। ভুক্তভোগীরা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ভুক্তভোগী হারুনুর রশীদ বলেন, জমি থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলাম, হঠাৎ একটি পাগলা কুকুর এসে আমার পায়ে কামড় দেয়। ব্রাহ্মণপাড়া সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে যাচ্ছি।
এদিকে আরেক ভুক্তভোগী আয়শা বলেন, আমার বাড়ি পাশের উপজেলায়। নিমন্ত্রণ খেতে এখানে এসেছিলাম। নিমন্ত্রণ খেয়ে পায়ে হেঁটে ফেরার পথে পেছন থেকে একটি কুকুর এসে আমার পায়ে কামড় দেয়। আমি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা ও ইনজেকশন নিয়েছি।
কুকুরের কামড়ে আহতরা হলেন, উপজেলার মহালক্ষীপাড়া গ্রামের আবু জাহেরের মেয়ে রত্না আক্তার (১৭), একই এলাকার শাহ জালালের স্ত্রী শাহীনুর (৩৩), ওমর ফারুকের স্ত্রী হোসনেয়ারা (৫০), খোরশেদ আলমের স্ত্রী নাসিমা বেগম (৫৫), আঃ গফুর ভূঁইয়ার ছেলে হারুনুর রশীদ (৫০), জসিম উদ্দিনের মেয়ে হাবীবা (৪), জীবন মিয়ার স্ত্রী শাহীনূর (৪৭), মৃত আঃ রহমানের ছেলে হারুনুর রশীদ (৪০), ইউসুফ মোল্লার স্ত্রী কোহিনূর (৪৫) ও বুড়িচং উপজেলার পূর্ণমতী গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে আয়শা (২৭)। এদের মধ্যে শাহীনুর, আয়শা ও হারুনুর রশীদকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক।