1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
ব্যাপক কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহে ইরি-বোরো ধানের বীজতলায় পচন
বাংলাদেশ । শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ব্যাপক কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহে ইরি-বোরো ধানের বীজতলায় পচন

শাহজাহান আলী মনন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২
  • ২৮৮ বার পড়েছে

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের চারায় পচন দেখা দিয়েছে। নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে পুরো বীজতলা। এতে আবাদ শুরুর প্রাক্কালেই কৃষকরা ধান চাষ নিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছে। ছাই দিয়ে পচন রোধের চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। লাগাতার কয়েকদিন ধরে ব্যাপক কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের ফলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রবিবার (৯ জানুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিন গেলে দেখা যায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের ধান চাষের জন্য তৈরী বীজতলার কিছু কিছু চারায় পচন ধরেছে। বেশীরভাগ বেচন (চারা) ক্ষেত হলুদ ও লাল বর্ণের হয়ে পরেছে। এখনও যেগুলো সবুজ রয়েছে সেগুলোর গোড়াতেও কালো রং ধারণ করেছে।

আরও কয়েকদিন আবহাওয়ার একই অবস্থা বিরাজ করলে ওই চারাগুলোও লাল বা হলুদ হয়ে পুরোপুরিভাবে পচনের মুখে পতিত হবে বলে মনে করছে কৃষকরা। ফলে ইরি-বোরো ধান চাষ নিয়ে শুরুতেই হোচট খাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন তারা। এতে যথাসময়ে চারা রোপন সম্ভব না হলে আগাম ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কামারপুকুর ইউনিয়নের উত্তর অসুরখাই গ্রামের ডাক্তারপাড়ার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে কৃষক শরীফুল ইসলাম (৩৫) জানান, তার ২বিঘা জমির ২৯ জাতের ধানের বিচনে পচন ধরেছে। অধিকাংশই লালচে হয়ে গেছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা পড়ায় শিশির জমে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমন মৌসুমে অতিবৃষ্টির ফলে ধানে পচন ও কারেন্ট পোকার আক্রমণে আশানুরূপ ফলন না হওয়ার ক্ষতি পোষানোর জন্য আগাম ইরি-বোরো আবাদ করতে বীজতলা তৈরী করেছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় অল্পদিনেই চারা বেশ হৃষ্টপুষ্ট ও সতেজ হয়ে উঠেছিল। আর কয়েকদিন পরেই জমি তৈরী হলেই রোপণের বীজতলা থেকে চারা তোলা হতো। অথচ এরই মাঝে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে শৈত্য প্রবাহ শুরু হওয়ায় ব্যাপক কুয়াশার কবলে বিপাকে পড়েছি।

একইভাবে হতাশা ব্যক্ত করেন ওই এলাকার রোস্তম আলীর ছেলে কৃষক গৃহস্থ ইলিয়াস আলী ( ৪০)। তিনি বলেন, ১২০শতক জমির বিচন পুরোটাই নষ্ট হওয়ার পথে। ঘন কুুুুয়াশা পড়া শুরু হওয়ার পর পরই প্রতিদিন খুব সকালে বীজতলায় গিয়ে চারা পাতায় জমে থাকা অতিরিক্ত শিশির ঝরাতে লাঠি চালিয়ে দিয়ে পরে ছাই ছিটাচ্ছি। কিন্তু দুপুুর নাগাদ রোদের দেখা না মেলায় ভিজা ছাই না শুকানোর ফলে গোড়ায় কালো হয়ে যায়।

এতে চারাগুলো হলুদ ও লাল হয়ে ক্রমেই পচনের দিকে যাচ্ছে। কিছুু কিছুতো পচেই গেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়ে আশঙ্কায় আছি। এভাবে আরও কয়েকদিন আবহাওয়া বিরুপ থাকলে সম্পূর্ণ বীজতলাই পঁচে যাবে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুুুখে পড়বো এবং সময়মত আবাদ শুরু করা নিয়েও সমস্যায় পড়তে হবে। চারার সংকট সৃষ্টি হলে যেমন রোপন বিলম্বিত হবে তেমনি খরচও বেড়ে যাবে।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহিনা বেগম জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারনে কৃষকরা বীজতলা নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন। তবে উপসহকারী কৃষি অফিসাররা নিজ নিজ এলাকায় কৃষকদের কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষায় করণীয় বিষয়ে পরামর্শ ও প্রয়োজনে মাঠে গিয়ে প্রাকটিক্যালী সঠিক পদ্ধতি প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দুই একদিনের মধ্যেই শৈত্য প্রভাহ কেটে যাবে এবং আবারও সূর্যালোক ও তাপ পেয়ে হলুদ ও লাল হয়ে যাওয়া চারায় প্রয়োজনীয় সেচ দিলে তা পূনরায় সবুজ ও সতেজ হয়ে রোপন উপযোগী হয়ে উঠবে। আর পচে যাওয়ার ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী বিকল্প চারার সংস্থান করে দিবে কৃষি অফিস। তাই চারা সংকটে আবাদ বাধাগ্রস্ত হওয়া নিয়ে আশঙ্কিত না হতে তিনি কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD