অনেক আন্দোলনের পর অবশেষে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছে আপিল বোর্ড। ইতিমধ্যে আজ সন্ধ্যায় এফডিসিতে ডাকা এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন বর্তমান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। নির্বাচনী আচরণবিধি না মানায় জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করা হয়েছে।
তাঁর পরিবর্তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণ এ পদে জয়ী হয়েছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আজও উত্তপ্ত এফডিসি প্রাঙ্গণ। ভোটাধিকার হারানো ১৮০ জন শিল্পী সেখানে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করে স্লোগানে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। সমস্বরে ‘জায়েদ খানের পদত্যাগ চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চিৎকারে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। আজ শনিবার বিকেল পাঁচটায় দুই সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে সভা আহ্বান করেছে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ড।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশমতো সেই সভার মূল দায়িত্ব পালন করছেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। এরই মধ্যে এফডিসির মূল ফটক থেকে ক্যানটিন, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, বাগান, মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের আঙিনা—সর্বত্র আজ শিল্পীদের পদচারণায় উত্তপ্ত।
এদিকে সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে অভিযোগকারী নিপুণ, অভিযুক্ত জায়েদ খান, চুন্নু, সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও দুই নির্বাচন কমিশনারকে। তবে আগেই জানা গেছে, জায়েদ আজ এফডিসিতে থাকবেন না। এদিকে সভা শুরু করার দেড় ঘণ্টা আগে থেকে উপস্থিত হয়েছেন শিল্পীরা।
মিশা-জায়েদের আমলে ভোটাধিকার হারানো শিল্পীরা বেলা তিনটা থেকে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। কেউ দল বেঁধে, কেউ গায়ে প্রতিবাদী শ্লোগান লিখে তাঁদের অধিকার হরণের অভিযোগ করেছেন জায়েদের বিরুদ্ধে। তাঁদের একজন নৃত্যশিল্পী রতন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে জায়েদ। আমি ২০ বছর ধরে এফডিসিতে আছি। শতাধিক সিনেমায় কাজ করেছি। আমার মতো শিল্পীকেও সে বঞ্চিত করেছে। আমি ওর বিচার চাই। আমি ওকে অভিশাপ দিচ্ছি।’
এ মুহূর্তে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। দুজন পিয়নের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ। তাঁদের খুঁজে পাচ্ছে না কেউ। যোগাযোগ করা হলে জায়েদ খান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আজ সরস্বতী পূজা। এমনিতেই সমিতি বন্ধ। আজ পিয়নদের ছুটি। তাই হয়তো তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না।