বিদেশ পালানোর চেষ্টায় চেয়েছিল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান হত্যা মামলার মূল আসামী তফাজ্জল আলী। কিন্তু ঢাকার কমলাপুরে মৌলভীবাজারের জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন যান তিনি।
বৃহস্পতিবার ভোরে এক অভিযানে সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করল গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
পুলিশ সুপার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবি এম মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার কমলাপুর এলাকা থেকে নাজমুল হাসান হত্যা মামলার মূল আসামি তফাজ্জল আলীসহ এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তফাজ্জল আলীর কাছ থেকে পাসপোর্ট, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের টিকেট,মোবাইল ফোন, চারটি বিদেশিসহ পাঁচটি সীম কার্ড ও ৩৩৮ দিরহাম উদ্ধার করা হয়। সে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিল। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে নাজমুল হাসানের সাথে তফাজ্জল আলী গংদের দীর্ঘদিন ধরে চৈত্রঘাট বাজার, বালু ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলছিল। উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে চৈত্রঘাট বাজারে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী নাজমুল হাসানকে। পরে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৩১ অক্টোবর দুপুরে কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজারে মাইক্রোবাস থেকে নেমে ৯-১০ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল হামলা করে ব্যবসায়ী নাজমুল হাসানের উপর। এসময় এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। ঘটনার পর মারাত্মক আহত অবস্থায় সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই দিন রাতে নাজমুল মারা যান। নিহত নাজমুল কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউপি প্রতাপী গ্রামের লুকুস মিয়ার সন্তান।