অবশেষে বীজ ধান পেল শরণখোলায় অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ ডিলারের মাধ্যমে এ বীজ সরবারহ করে। রবি ও সোমবার (৮ ও ৯ আগষ্ট) চার মেট্রিকটন বীজ ধান আনার সাথে সাথে নিমেশেই তা শেষ হয়ে যায়। তবে বীজ পেয়ে চাষীরা খুশি হলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল বলে তারা জানান। একারনে অনেক চাষী বীজ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, শরণখোলায় মোট ১১হাজার ২৯০জন চাষির মাধ্যমে এবার ৯ হাজার ৪৩৯ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিআর- ১১, বিআর-৫২ ও বিআর- ২২ জাতের ধান চাষের জন্য ৭৩০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করা হয়। সম্প্রতি অতিবর্ষণের জলাবদ্ধতায় ৫০ ভাগ বীজতলা পঁচে নষ্ট হয়েছে। কিন্তু পুনঃরায় চাষের জন্য ডিলারদের কাছে বীজ নায়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে চাষিরা। এনিয়ে দৈনিক কালজৈয়ী পত্রিকা সহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর ছাপা হলে বীজ সংগ্রহের তৎপরতা শুরু করে কৃষি বিভাগ। এরপর উপজেলার রায়েন্দা বাজারের ডিলার মেসার্স সরোয়ার এন্টার প্রাইজের মাধ্যমে রবিবার দুই মেট্রিকটন এবং সোমবার দুই মেট্রিকটন ভিত্তি জাতের বিআর-৭১ বীজ ধান কৃষকদের মধ্যে সরবারহ করা হয়।
মেসার্স সরোয়ার এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তায় সাতক্ষীরা ও যশোর থেকে বীজ ধান সংগ্রহ করে নির্ধারিত মূল্যে চাষিদের মধ্যে সরবারহ করা হচ্ছে। তবে চাষীদের আরো চাহিদা রয়েছে।সোমবার সকালে বীজ ধান নিতে আসা উপজেলার দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের জামাল মৃধা জানান, তিনি এবার চার মন ধানের বীজতলা করেছিলেন। কিন্তু অতি বৃষ্টিতে তা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েগেছে। এখন যে বীজ দেয়া হচ্ছে তা থেকে তার চাহিদা পুরন হবে না। রাজৈর গ্রামের রুস্তুম হাওলাদার জানান, অতিবৃষ্টিতে তার এক মন ধানের তৈরী করা বাীজতলা নষ্ট হয়েগেছে। কিন্তু এখন যে বীজ পেয়েছেন তা দিয়ে চাহিদা পুরণ হবে না। এসময় কদমতলা গ্রামের এমাদুল হক গাজী ও সিদ্দিক হাওলাদার, কাদের খান, বাচ্ছু হাওলাদার, খাদা গ্রামের রুস্তুম গাজী বীজ ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান।
বীজ সরবারহের সময় উপস্থিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ মোঃ আলাউদ্দিন ও মোঃ হাসিবুল ইসলাম মনি বলেন, চাষের মৌসুম শেষ পর্যায়ে তাই দ্রুত বীজ সংগ্রহ করে কৃষকদের মধ্যে সরবারহ করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের চাহিদা অনেকটাই পুরন হবে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, কৃষকদের কথা চিন্তা করে অনেক ঝুকি নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে এই বীজ সংগ্রহ করতে হয়েছে। এছাড়া চাষিদের মধ্যে বীজ সুষম বন্টনের জন্য ডিলারের কাছে দুইজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন। আশা কারা যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯০ ভাগ চাষি উপকৃত হবেন।