বাগেরহাট ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা মটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের দুই সদস্যকে শরণখোলা থেকে গ্রেফতার করেছে।এসময় তাদের দেয়া তথ্যমতে ক্রেতাদের কাছে বিক্রী করা ৩টি চোরাই মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ অফিসে প্রেস ব্রিফিং করে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান,শুক্রবার রাতে বাগেরহাট বাস ট্যার্মিনাল থেকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা সন্দেহজনত গতিবিধির দেখে মোঃ রাজু হাওলাদার (২৪) নামে এক যুবককে আটক করে।আটক রাজু শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা পাঁচরাস্তার মোড়ের কামরুলের গ্যারেজের মেকানিক ও একই উপজেলার চালরায়েন্দা গ্রামের রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।আটককের পর রাজু জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে সে আন্ত:জেলা মটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য।
তার আশ্রয় দাতা উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আঃ আজিজ মুন্সির ছেলে মাওলানা ইউসুফ মুন্সির (৬৫) চাহিদা মতো ২০১৭ সাল থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মটরসাইকেল চুরি করে তার কাছে পৌঁছে দিতো।পরে ইউসুফ মুন্সি চোরাই মটরসাইকেলগুলো বিক্রি করে তাকে ভাগের টাকা দিতো।এ তথ্য জানার পর রাতেই মাওলানা ইউসুফ মুন্সিকে তার বাড়ী থেকে আটক করেন।পরে দুইজনের দেয়া তথ্যে শরণখোলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ টি চোরাই মটররসাইকেল ক্রেতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রাজুর নামে বাগেরহাটের বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে।পুলিশ জানায়,উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল ৩ টি হচ্ছে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফিজুর রহমানের ও রামপাল উপজেলার ভাগা বাজারের দুলাল হাওলাদারের এবং বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়া থেকে অষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি শেখ সোহাগ হোসেনের।২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর ও একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেল ৩টি চুরি করে রাজু।