বাগেরহাটের শরণখোলায় উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যেই প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল তৎপর।তবে বিচ্ছিন্ন দুটি ঘটনায় মেম্বর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দুপুর ১২টার দিকে শরণখোলা সরকারি কলেজ ও রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল কেন্দ্রে পরিদর্শন করে উৎসব মুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে।ওই সময় পর্যন্ত দুই কেন্দ্রে ৩৫ শতাংশ ভোট গ্রহন করা হয়েছে বলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা জানান।কেন্দ্র পরিদর্শন কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাতুনে জান্নাত বলেন,নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করতে তারা সবাই ব্যাপক তৎপর রয়েছেন।
অপরদিকে,উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের ১ নং উত্তর রাজাপুর ও ৯ নং ঝিলবুনিয়া ওয়ার্ডে মেম্বর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ২৭ জনকে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তী করা হয়েছে।এদের মধ্যে তিনজন নারীসহ গুরুতর আহত ১০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।এরা হচ্ছেন-নাজমা বেগম (২৩),সালমা বেগম (৩৫),ফাহিমা বেগম (৪২),শাহজাহান হাওলাদার (৬৩),রেজাউল খান (৩৬),নাইম তালুকদার (২০),সেলিম সর্দার (২৫),বাদশা (২৫),আবু জাফর ফরাজি (৪০) মনির হাওলাদার (৩৫)।
১ নং উত্তর রাজাপুর ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী মোঃ সাখায়াত তালুকদার অভিযোগ করে বলেন,প্রতিপক্ষ প্রার্থী মোঃ হেলাল উদ্দিন সর্দার তার এজেন্ট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন।এছাড়া ও তার কর্মী সমর্থকদের কেন্দ্রে আসতে বাঁধা প্রদান করেছে।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার অঞ্জন সরকার বলেন,কোন কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।তা ছাড়া এ ব্যপারে তার কাছে কেউ অভিযোগও জানায়নি।
শরণখোলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নৌকার প্রর্থী বিজয়ী হয়েছেন।শুধুমাত্র ধানসাগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী মাইনুল ইসলাম টিপু ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিম আকনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা পূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।চারটি ইউনিয়নে ৪১ টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন চলে।