বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নে দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামীলীগ।বহিষ্কৃতরা হলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মহিম আকন এবং নির্বাহী সদস্য মোঃ বাবুল আকন।নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মইনুল ইসলাম টিপুর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাদেরকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুক্রবার (১০সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,আগামী ২ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১নম্বর ধানসাগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায় আপনারা দলীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।জেলা আওয়ামীলীগের নির্দেশ মোতাবেক সংগঠনের সকল পদ-পদবীসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে তাদেরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।
এব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও আনারস প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ বাবুল আকন জানান, নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী হওয়া যাবে না কেন্দ্র থেকে এমন কোনো নির্দেশনা নেই।যদি থাকতো তাহলেতো প্রার্থীই হতাম না।তাই বহিষ্কার আমলেই নেই নাই।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মহিম আকন তার প্রতিক্রিয়ায় জানান,বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে বহিষ্কার হতে হবে এটা সঠিক না।আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন নৌকার বাইরেও দলের একাধিক স্বতস্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করতে পারেবে।স্থানীয় আওয়ামীলীগের এই বহিষ্কার আমি মানিনা।বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে উড়িয়ে দিয়ে বিদ্রোহী এই দুই প্রার্থী শেষ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়,আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরণখোলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতেই আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।ওই তিন ইউনিয়নে সদস্য পদ ছাড়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে না।শুধুমাত্র ধানসাগর ইউনিয়নে দলীয় একাধিক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান ও অন্যান্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।