বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর জেগে ওঠা চরের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একাধিক মহল।সন্ধ্যার বুক কেটে ক্ষতবিক্ষত করে মাটি কাঁটায় ভাঙনের শংকায় আছেন নদী সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা আবাসনবাসী।জানা গেছে প্রতিদিন ভোররাতে কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সন্ধ্যা নদীর মুক্তিযোদ্ধা আবাসন সংলগ্ন এলাকার চর থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
নদীর যে স্থানে চরের মাটি কাঁটা হচ্ছে ঠিক নদীর অপর প্রান্তে চলছে সন্ধ্যার ভয়াবহ ভাঙন।ফলে প্রতিনিয়ত সন্ধ্যা নদী তার গতি পথ পাল্টে নতুন করে ভাঙনের সৃষ্টি করে বয়ে যাচ্ছে।নদীর ভাঙ্গাগড়ার এ প্রাকৃতিক খেলায় নদী পারের কয়েকটি গ্রাম ইতোপূর্বে নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।ঠিক এমন সময় আবাসনের পেছনে নদীর জেগে ওঠা চর কাটার কারনে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সরকারী এ আবাসনটি।
এ বিষয়ে আবাসনবাসীরা জানান,দুর্বৃত্তরা প্রতিদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ভোররাতে ট্রলার নিয়ে চরের মাটি কেটে স্থানীয় ইট ভাটা মালিকদের কাছে বিক্রি করেন।দুর্বৃত্তদের চরকাটার সংবাদে সরেজমিনে ওই চরে গিয়ে দেখা যায় সারি সারি ট্রলার ভর্তি করে চরের মাটি কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে রানী ইট ভাটার শ্রমিকেরা।
এ বিষয়ে রানী ইট ভাটার মালিক মন্নান মোল্লা জানান,তিনি গত দুই মাস পূর্বে ওই চর আলী আহাম্মদ মাষ্টারের ছেলে আনোয়ার ও মোঃ গিয়াস আকনের কাছ থেকে কিনেছেন।তিনি আরও জানান,সন্ধ্যা নদীর বিভিন্ন স্থানে জেগে ওঠা চরের মাটি অন্যান্য ইট ভাটা মালিকরাও কাঁটছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা জানান,নদী রাষ্ট্রীয় সম্পদ এটা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।চরের মাটি কাঁটার বিষয়ে বলেন যারা চর থেকে মাটি কাটঁছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।