সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের জন্য এ পর্যন্ত ৩ কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এর মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ত্রাণকাজে ব্যয় করেছেন। অবশিষ্ট রয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
আরও অনুদান সংগ্রহ করতে চান তিনি। এসব টাকা দিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে ৬০০ ঘর তৈরি করে দেবেন তিনি। শুক্রবার থেকে ঘর তৈরির কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছি। এর মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা আমি ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য খরচ করেছি। দেড়শর বেশি ট্রাকে ত্রাণ সরবরাহ ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নগদ সাহায্য করেছি। কিছু মানুষ টাকা দেওয়ার সময় বলে দিয়েছেন, এই টাকাগুলো যেন আমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসনের কাজে খরচ করি। এজন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাকি যে টাকাটা আছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখের মতো।
এই টাকা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য খরচ করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আরও কিছু টাকা ম্যানেজ করে প্রায় ৬০০ ঘর বানাতে চাই আমরা।
১ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচের বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, প্রায় ১৫ হাজার পরিবারকে আমরা শুকনা খাবার দিয়েছি। চাল, ডাল এগুলো দিয়েছি। তারপর নগদ টাকাও বিতরণ করেছি। তিনি বলেন, আমি যত অনুদান সংগ্রহ করেছি একটা পর্যায়ে ফেসবুকে সব টাকার হিসাব দেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ মানুষের এই টাকার ওপর আমার ব্যক্তিগত কোনো আগ্রহ নেই।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার কাছে এখন ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা আছে। আরও টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করব। সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৬শ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৬০০ ঘর তৈরি করে দিতে চাই। প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা দিয়ে আগামীকাল থেকে ঘর বানানো শুরু করতে চাই। আমার বিশ্বাস ঘর তৈরির কাজ শুরু করে দিলে আরও অনেক মানুষ সহযোগিতা করবেন।
কোন ধরনের ব্যক্তিদের ঘর তৈরি করে দেবেন এ প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে প্রায় এক লাখ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে যারা বিধবা, মুক্তিযোদ্ধা, একেবারে অসহায়, তারপর মসজিদ, মাদরাসা-মন্দির যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তৈরি করে দেব।
বন্যার মাঝখানে হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কারণে প্রসঙ্গে সুমন বলেন, বন্যা শুরু হওয়ার আগেই আমার টিকিট করাই ছিল। আপনারা জানেন আমার পরিবার তো ওখানেই। তারপর ঈদ চলে আসায় ভাবলাম এখন তো বেশি কাজ হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও আমার কাজ কিন্তু থেমে থাকেনি।