ফেনী শহরতলীর বারাহিপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ফেসবুক লাইভে এসে তাহমিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রধান ও একমাত্র আসামী টুটুলকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও প্রদান করা হয়।বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) তাহমিনা হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে টুটুলের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু। অন্যদিকে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার।চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
প্রসঙ্গত,প্রায় পাঁচ বছর আগে ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বারাহিপুর এলাকার গোলাম মাওলা ভূঁঞার ছেলে ওবায়দুল হক ভূঁঞা টুটুল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আকদিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারকে বিয়ে করেন।তাদের তাফান্নুন আরোয়া মায়োস নামে দেড় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।গত বছরের ১৫ এপ্রিল পারিবারিক কলহের জের ধরে টুটুল নিজ ঘরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে।
স্ত্রীকে হত্যার আগে ফেসবুক লাইভে এসে টুটুল সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে এবং ঘটনার জন্য নিজেকেই দোষী সাব্যস্ত করেন।এছাড়া পারিবারিক অশান্তির জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেন তিনি।তার স্ত্রী পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করতেন বলেও দাবি করেন।তিনি ভিডিওতে তার মেয়েকে দেখভালের জন্য সবার কাছে অনুরোধ করেন।এ ঘটনায় তাহমিনার বাবা সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ ইমরান হোসেন গত ১১ নভেম্বর টুটুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।