1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. admindailykaljoyi@gmail.com : admindailykaljoyi :
  3. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়
বাংলাদেশ । সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫ ।। ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
সড়ক পথে প্রতিদিন ঝরেছে ১৫ প্রাণ : সেভ দ্য রোড কুমিল্লায় সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হকসহ ১২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা চৌদ্দগ্রামে নারীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা হামলাকারী গ্রেফতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক মানোন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি : সেতু সচিব চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৭৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা নীলফামারীতে অনলাইন ভিসা প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার র‍্যাব পরিচয়ে সিএনজি ছিনতাই জিপিএস ট্র্যাকিংয়ে ছিনতাইকারী গ্রেফতার ডিমলায় ৯ মাসের অন্ত:সত্বা নারীসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার স্ত্রীর ডিভোর্স লেটার পেয়ে স্বামীর আত্মহত্যা মিথ্যে মামলায় আসামী করায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু

ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

খলিলুর রহমান :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৭১৬ বার পড়েছে

নীতিমালার তোয়াক্কা না করে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মহাদান ইউনিয়নের বড়শরা গ্রামে সরকারি কাচা রাস্তা কেটে,গ্রামীণ রাস্তা নষ্ট করে অবৈধ কাকড়া গাড়ি ব্যবহার করে ফসলি জমির মাটি নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। জমির ওপরের অংশ অর্থাৎ টপ সয়েল ইটভাটায় যাওয়ায় জমির উর্বরতা হারাচ্ছে। এতে করে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে । দ্রুত ইটভাটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতিসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সচেতনরা।

উপজেলায় প্রায় ২০টি ইটভাটা আছে। যার অধিকাংশেরই পরিবেশ অধিদফতরের কোনো ছাড়পত্র নাই। ইট তৈরির প্রধান কাঁচামাল মাটি। ফসলি জমির মাটি ইট তৈরিতেও সুবিধা। এছাড়া হাতের নাগালে হওয়ায় কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে এ মাটি কিনে নেয় একটি পক্ষ। এরপর তারা বেশি দামে ইটভাটায় সরবরাহ করে থাকেন। মাটি বিক্রি করায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটিতে যে জিপসাম বা দস্তা থাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া মাটিতে যে জীবাণু থাকে এবং অনুজীবের কার্যাবলি আছে তা সীমিত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে দিন দিন ফসলি জমিতে উৎপাদন ক্ষমতা কমছে। মাটির জৈব শক্তি কমে গিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে। আর এভাবে ফসলি জমির মাটি ইট ভাটায় যেতে থাকলে আস্তে আস্তে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে।

উপজেলার খাগুরিয়া গ্রামের কৃষক খোকা মিয়া ও মিজানুর রহমান বলেন, মূলত ফসলি জমির উপরের অংশের মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয়ে থাকে। এতে করে দেড় থেকে দুই বছর ওই জমিতে তেমন ফসল উৎপাদন হয় না। তবে প্রচুর পরিমাণ জৈব সার, খৈল, জিপসাম, ফসফেট ও পটাসসহ বিভিন্ন সার ব্যবহার করা হলে আগের মতো আবাদ হয়ে থাকে। বিলবালিয়া গ্রামের কৃষক আবুল কালাম বলেন, জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি করলে জমির কী ধরনের ক্ষতি হয় তা তিনি জানেন না।

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এভাবে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় যেতে থাকলে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে। কমপক্ষে ২/৩ বছর ওই জমি থেকে ভালো ফলন আশা করা যায় না। এতে করে আগামীতে খাদ্য ঘাটতির সম্ভবনা রয়েছে।তিনি আরও বলেন,এরজন্য দায়ী কৃষকেরা।আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি উপরের মাটি হলো উর্বর মাটি।কিন্তু কৃষকেরা নগদ টাকার লোভে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অ্যাসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD