1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. admindailykaljoyi@gmail.com : admindailykaljoyi :
  3. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
ফরিদগঞ্জে মাদরাসা শিক্ষকের অমানবিক বেত্রাঘাতে শিশু ছাত্রের পিঠে রক্ত জমাট
বাংলাদেশ । শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ

ফরিদগঞ্জে মাদরাসা শিক্ষকের অমানবিক বেত্রাঘাতে শিশু ছাত্রের পিঠে রক্ত জমাট

কবির হোসেন মিজি:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২
  • ২৬৩ বার পড়েছে
 চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের অমানবিক বেত্রাঘাতে আরমান হোসেন (৯) বছর বয়সী এক শিশু ছাত্র গুরুতর আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত ১ জুলাই ওই উপজেলার ধানুয়া গ্রামের সেকান্দর খান বাড়ি আশরাফুল উলুম মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। বেত্রাঘাত করা ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মালেকের চাপে শিশুটি তার পরিবারকে কিছু না জানালেও ঘটনার তিন দিন পর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবকরা ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
আহত শিশু আরমান হোসেন জানায়, আমি ঠিকমত পড়া না পারার কারণে এবং ফজর নামাজের সময় ঘুম থেকে দেরি করে উঠার কারণে মালেক হুজুর আমাকে কস্টেপ পেছানো বাসের বেত দিয়ে আমাকে অনেক মারধর করেছেন।
শিশু আরমানের পিতা আবুল খায়ের জানান, গত ১৫/২০ দিন পূর্বে তিনি তার শিশু পুত্রকে ধানুয়া গ্রামের আশরাফুল মাদ্রাসায় নূরানী শাখায় ভর্তি দেন। গত ৩ জুলাই তার ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে তিনি ওই মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারেন মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক তার ছেলেকে অমানবিকভাবে বেত্রাঘাত করে রক্তাক্ত যখন করেছেন। বেত্রাঘাতে শিশু আরমানের পিঠে প্রত্যেকটি বেতের আঘাতের স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে আছে।
তিনি জানান, তার শিশু ছেলের প্রতি এমন অমানবিক নির্যাতনের কথা জিজ্ঞেস করলে ওই সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক উল্টো তাকে বিভিন্ন হুমকি স্বরূপ কথাবার্তা বলেন। পরে তিনি ঐ শিক্ষকের সাথে কোন কথা না বাড়িয়ে তার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। এমন অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় শিক্ষক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী পিতা।
এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মালেক মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদ্রাসার দায়িত্বরত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা জাহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন যখন ঘটনা ঘটেছে আমি এই বিষয়টি অবগত ছিলাম না। কিন্তু যেদিন শিশুটির অভিভাবকরা তাকে মাদ্রাসা থেকে নিতে এসেছেন, তখন ওই হুজুরের সাথে বাকবিতন্ডা হওয়ার কারণে আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD