আর মাত্র কদিন পরেই শারদোৎসব।এ বছর ১১ই অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজো।আর এই দূর্গাপূজোকে সামনে রেখে সারাদেশের মতো পাবনার কারিগররাও ব্যস্ত সময় পার করছে মা দূর্গার প্রতিমা তৈরির কাজে।পুজো আয়োজনকারীরা জানান,দিন এগিয়ে আসছে ক্রমশই।আর মাত্র কদিন বাকি পুজোর।
এ বছরের পুজো কেমন হবে,তার ধারণা এখনও মানুষের মনে স্পষ্ট নয়।তবু পুজো জাঁকজমক করে হোক বা নাই হোক,মা তো সময় মেনেই আসবেন।তিথি মেনেই হবে তাঁর আগমন ও গমন।সপ্তমীর দিন দেবীর আগমন ঘটে,আর দশমীর দিন দেবীর বিসর্জন বা বিদায়।দেবীর যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু যান।কখনও মা আসেন গর্জে,কখনও ঘোটকে বা ঘোড়ায়, কখনও বা দোলায়,কখনও নৌকায়…আবার বিদায় নেওয়ার জন্যও একই যান গুলি রয়েছে।
এর মধ্যে গজে আগমন সবচেয়ে শুভ।সুজলা,সুফলা হয় ধরণী,সুখে-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে পৃথিবী।নৌকায় আসা মানেই বন্যা।তবে ভাল ফসলের ইঙ্গিতও দেয়।শাস্ত্র মতে,দেবী দূর্গার গমনাগমনএ হলে চরম বিশৃঙ্খলা এবং ক্ষয়ক্ষতি দেখা দেয় মর্তে৷এক কথায় একে বলা হয়ে থাকে ছত্রভঙ্গন্তরঙ্গমেদোলাং মড়কাং ভবেৎ অর্থাৎ দোলায় গমনের ফলদেবী দুর্গা যদি দোলায় চড়ে গমনাগমন করেন তার ফল মর্ত্যে বহু মৄত্যু৷এই বহু মৃত্যু হতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কিংবা যুদ্ধ হানাহানির কারণে।
মা এ বার আসছেন দোলায়।দোলা হল মড়কের প্রতীক।মহামারীর চিহ্ন।আবার ফিরছেন নৌকায়।নৌকা হল বন্যার প্রতীক।যদি মা দুর্গার কোনও বছর একই বাহনে আগমন আর গমন ঘটে তবে আগামী বছরটা খুবই খারাপ বলে মনে করা হয়।গত বছর দেবীর আগমন আর গমন দুটোই ঘোড়ায় ঘটেছিল।আর তারপর এ বছর করোনা মহামারী।
করোনার কারনে গতবছরের ন্যায় এবারও সীমিত পরিসরে চলবে পূজোর সকল কার্যক্রম এমনটাই জানিয়েছেন,পাবনা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও পাবনা জেলা পূজো উৎযাপন পরিষদের সম্পাদিকা সুষমা রাণী সাহা ।