কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, ‘পুর্বাঞ্চলের শিশুদের সুন্দর মনে বেড়ে উঠতে সহায়ক হবে সিটি কর্পোরেশন পার্ক-২। তবে খেয়াল রাখতে হবে এখানে মাদক সেবনকারীরা যেন প্রবেশ না করতে পারে। তিনি আরো বলেন, মাদক কারবারীদের বাঁধা হওয়াতেই ১৭ নং ওয়ার্ডে জনপ্রিয় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কোন আপোষ নাই।
আজকের শিশুদের জন্য মাদকমুক্ত সুন্দর কুমিল্লা গড়তে সাংবাদিক সহ সমাজের সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর তেলিকোনা চৌমুহনীতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন শিশু পার্ক-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ মনিরুল হক সাক্কু, প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন খান জম্পি, এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।হাজী বাহার এমপি আরো বলেন, আমি মেয়র সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই নগরীর এমন একটি পরিত্যাক্ত জায়গায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন সিটি পার্ক-২ উদ্ভোধন করার জন্য। আমাদের নতুন প্রজন্মের শিশুরা তাদের মানসিক বিকাশ এবং বিনোদনের একটি জায়গা পেল। এখন আর কষ্ট করে তাদেরকে কান্দির পাড় অবস্থিত শিশু পার্কে কষ্ট করে যেতে হবে না। এখানে যেন কেউ মাদক সেবন করে না ঢুকতে পারে আপনারা খেয়াল রাখবেন। কেউ এমন কাজ করলে সাথে সাথে আমাকে খবর দিবেন আমি ব্যবস্থা নিব।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেন, আপনারা জানেন এই এলাকার জনপ্রিয় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মোঃ সোহেলকে মাদকের কারণেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলবেই। সোহেল মাদক ব্যাবসায়ীদেরকে কঠোরভাবে বিচার করতো। সোহেল অনেকের কাছে বিষফোঁড়ার মত হয়ে গিয়েছিল। তার মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থানই কাল হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধ করেছি দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য আর এখনকার যুদ্ধ চলবে আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন পার্ক ২ অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় আছেন আফরোজা জেসমিন সাক্কু। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি মাননীয় এমপি মহোদয় নিজে এসে সময় দিয়ে পার্কটি উদ্বোধন করেছেন। এটা আপনাদের জন্য করা হয়েছে আপনারা পার্কটির দেখভাল করে রাখবেন। মেয়র সাক্কু বলেন, আমি সামনে মেয়র থাকি বা না থাকি, আমি আগামী ৩ বছরের জন্য এ পার্কটি পরিচর্যা করার দায়িত্ব নিলাম।
তিনি বলেন, সপ্তাহের প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন পার্ক-২ খোলা থাকবে। তবে প্রতি সাপ্তাহের বুধবার সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা, সুইপারসহ তাদের পরিবারের জন্য বরাদ্ধ থাকবে। তাই প্রতি বুধবারে সর্বসাধারণকে ঢুকতে দেয়া হবে না। মেয়র বলেন, আমি দেখে গেলাম আবার ৩ টার দিকে এসে দেখব। উদ্বোধনের পর পরই আনন্দময় পরিবেশের সৃষ্টি হয় পার্কে।