চারদিকে কনকনে ঠাণ্ডা। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীত শুরু হয়। নতুন কাপড়ের দোকানে মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তদের ভিড় থাকলেও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তা কেনা বেশ কষ্টসাধ্য। তাই তাদের একমাত্র ভরসা পুরাতন কাপড়ের দোকান। ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দরের কাপড়ও এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। নতুন কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে প্রচুর ভিড় জমে উঠছে।
টাঙ্গাইলের ক্রমান্বয়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা নামার পরেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে এ জনপদ। শীতের তীব্রতার কারণে এখন সব শ্রেণীর মানুষ ভিড় করছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেট গুলোতেও গরম কাপড়ের চাহিদা এখন অনেক বেশি। তবে বেশি ভীড় দেখা যায় ফুটপাতের পুরনো শীতবস্ত্রের দোকানে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন টাঙ্গাইলের এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ভিড় করছেন ফুটপাতের এসব দোকানে।
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে এসব ফুটপাতের প্রতিটি দোকানেই এখন শীতের পোশাকে ঠাসা দেখা যাচ্ছে। ২০-৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫'শ টাকা পর্যন্ত দরের মধ্যে শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে ওই দোকানগুলোতে। পাশে মার্কেট থাকলেও কম দামের কারণে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক বেশি। এসব ফুটপাতের দোকানে মেয়েদের জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, ব্লেজার, লেদার জ্যাকেট, হাফ সোয়েটার সবকিছু
রয়েছে দোকানগুলোতে।
এসব দোকানে কম দামে বিদেশি পুরনো গরম কাপড় মিলছে। দামে কিছুটা সস্তা হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় করছেন দোকানগুলোতে। এসব দোকানে এর আগে ছুটে আসতেন অসহায় ও গরিব মানুষেরা। তবে এখন ধনী-গরিব সবাই ছুটছে দোকানগুলোতে। শুধু ক্রেতাই নয়।পুরনো এসব গরম কাপড় কেউ পাইকারি আবার কেউ হাতে নিয়ে বিক্রি করছেন। পুরনো কাপড়ের দোকানে কাপড় কিনতে আসা গোবিন্দাসীর সজীব বলেন, সব ধরনের কাপড় এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর দাম অনেক বেশি।
বিক্রেতা জামান জানায়, গতবারের চেয়ে এবার দাম বেশি কারণ প্রতিটি গাইটে গড়ে ৩ হাজার করে দাম বেড়েছে। যে জ্যাকেটের গাইট ৮ হাজার ছিলো সেটি আনতে হচ্ছে এখন ১১ হাজার টাকায়। অনুরূপ সুয়েটারের গাইট ৫ হাজার থেকে এখন ৮ হাজার, বেবী ৭ হাজার থেকে এখন ১০ হাজার, গেঞ্জি ৫ হাজার থেকে এখন ৭ হাজার টাকায় আমরা কিনেছি। কিনতে গিয়ে যদি দাম বেশি পড়ে তাহলে বলেন আমরা কিভাবে দাম কমাবো।