কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।ক্রেতা বিক্রেতার দরকষাকষিতে সরগরম প্রতিটি বাজার।নিত্য পণ্যের দাম নিযন্ত্রণে চায় ক্রেতারা।সরেজমিনে ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে উপজেলার সদর বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়,হালিপ্রতি মুরগির লাল ডিম বিক্রি হয় ৩৯-৪০ টাকায়।আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়।
হাঁস কিংবা দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হয় ৫৮-৬০ টাকা হালিতে,তবে ডজন বিক্রি হয় ১৬৫-১৭৫ টাকায়।বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৪৫-১৫০ টাকা কেজি দরে।ব্রয়লার মুরগি ছাড়াও সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়।দেশি মুরগি বিক্রি হয় ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা দরে।আর গরুর মাংস বিক্রি হয় ৬০০ টাকা কেজি দরে।আর খাসির মাংস বিক্রি হয় ৮০০-৮৫০ টাকা কেজিতে।
ক্রেতারা বলেছেন,মহামারি করোনার কারণে আয় কমেছে।সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যয়।ঠিক এ সময়ে একের পর এক জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে।মাছ-মাংস,চাল-ডালের পর এখন ডিমের দাম বেড়েছে।এতে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বা প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কথা হয় উপজেলার সদর বাজারে নিত্য পণ্য ক্রয় করতে আসা মফিজুল ইসলামের সাথে।তিনি জানান,করোনার কারণে প্রায় প্রতিটি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন কোনোরকমে বেঁচেবর্তে আছে।নিত্য পণ্যের দাম যে হারে দিন দিন বাড়ছে আমাদের খেয়ে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।আমরা এই উর্ধ্বমুখী পণ্যের দামের নিয়ন্ত্রণ চাই।
কথা হয় উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারে আসা এক ক্রেতার সাথে,তিনি বলেন,দিন দিন যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে করে আমাদের মতো গরীবরা মনে হয় আর টিকে থাকতে পারব না।এ বিষয়ে খুচরা ব্যাবসায়ীদের বক্তব্য,তারা পাইকারী বাজার থেকে বেশি দামে কিনে আনতে হয়।যেকারণে তারা দামে বিক্রি করছে।