গতকাল ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা পুলিশ লাইনস চত্বরে সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ২০৪টি মামলায় জব্দ ও উদ্ধারকৃত আলামত ধ্বংস করা হয়। ধ্বংসকৃত আলামতের মধ্যে ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল, হেরোইনসহ ২৮ ধরনের আলামত প্রশাসনের কাছে সংরক্ষিত ।
আলামত ধ্বংস প্রক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতায় পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জর্জ মো. আছাদুজ্জামান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কবীর, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঈশ্বরদী সার্কেল ফিরোজ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রোকনুজ্জামান, ডিবি ওসি মো. আব্দুল হান্নান, কোর্ট ইনেসপেক্টর মো. হুমায়ুন কবিরসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পাবনা বিচারিক আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র মেজিস্ট্রেটরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথি পাবনা জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মো. আছাদুজ্জান বলেন, আদালতে বিভিন্ন মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করা অব্যাহত থাকলে আলামত ধ্বংসের প্রক্রিয়া আরো গতিশীল হবে। তবে বর্তমানে যে ভাবে যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পরছে তাতে পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে আমাদের চিন্তা হয়। মাদকের ভয়াবহতা থেকে সকলকে মুক্ত থাকতে হবে। এই মাদকের মাধ্যমে সকল অপকর্ম সংগঠিত হয়। আর এরই প্রভাবে সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি পায়।
তাই পুলিশ প্রশাসনকে আরো সজাক দৃষ্টি দিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে কঠোর হতে হবে। ভালো সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সাথে সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবেই আমরা বিভিন্ন অপরাধ থেকে সমাজকে মুক্ত করতে পারবো।এসময় সকলের উপস্থিতিতে জব্ধকৃত বিভিন্ন প্রকারের মাদক যেমন ইয়াবা, গাজা, হেরোইন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ও বিভিন্ন প্রকারের নকল পণ্য বুলডোজারে নিচে দিয়ে ধ্বংস করা হয়।