পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রিশিয়ান মানিক ওরফে সেই ‘ক্ষুর মানিক’কে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে অবশেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একটি সন্ত্রাসী হামলায় ধারালো বুজাং দিয়ে কুপিয়ে এক নিরীহ ব্যাক্তির পা কেটে ফেলা ও হত্যা চেষ্টার মামলায় পুলিশ তাকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে।
মানিক সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। বৈবাহিক সুত্রে উপজেলার একই ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির তাহিরপুরের বাদাঘাট অভিযোগ কেন্দ্রের অনুমোদনপ্রাপ্ত উওর বড়দল ইউনিয়নের গ্রামীণ ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার জামতলা বাজারে গত ১৪ আগষ্ট ট্রলার ঘাটে জলমহালের দখল নিতে না পেরে আমবাড়ি গ্রামের লাঠিয়াল পরিবারের ক্ষুর সন্ত্রাসী মানিক একই গ্রামের মৎসজীবী সমিতির সদস্য দরিদ্র পরিবারের মোসা মিয়াকে ধারালো বুজাং দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে এক পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তার্থ জখম করে ও অপর সদস্য মনা মিয়াকে হাতুরি পেঠা করে দু’জনকেই মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। ক্ষুর মানিকের সহোদর মোস্তফা ওরফে শীতলা দাগ মোস্তফা, রতন সহ তাদের পরিবারের লাঠিয়াল বাহিনীর একাধিক সদস্য সন্ত্রাসী হামলার অংশ নেয়।
আহত অবস্থায় মৎসজীবী সদস্যদেও স্থানীয় লোকজন উদ্যার করে ঘটনার দিন সন্ধায় উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। স্থানীয় লোকজন জানান, ক্ষুর মানিক আমবাড়ি গ্রামে থাকা পরিবারের লাঠিয়াল বাহিনী ও শশুড় বাড়ি জালালপুরের গোষ্ঠীর দাপট দেখিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষের সাথে অসদারচন, যখন তখন নিরীহদের অশ্লীল গালাগাল মারপিট করেও শাহজাদার বেশে চলাফেলা করেন।
সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলায় জেলা কারাহেফাজতে মানিক থাকলেও তার পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নিতে ও গ্রামের মাসুক, হারুন ধনমিয়া সহ নিরীহ পরিবারের লোজনকে পায়ের রগ কেটে ফেরার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অভিযাগ রয়েছে ক্ষুর মানিক সুনামগঞজ , বাদাঘাট বিশ^ম্ভরপুর পল্লী বিদ্যুত অফিসের কর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে গত কয়েক বছরৈ বিদ্যুত সংযোগ, মিটারের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুত ওয়ারিং করার সুবাধে ইচ্চেমত গ্রাহকদের নিকট হতে টাকা আদায়ের পাশাপাশী হয়রানী করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।
পল্লী বিদ্যুতের মিটার ও বিদ্যুত সংযোগ হয়রানীর শিকার লোকজন তার নিকট গেলে গ্রাহকদের নানভাবে নাজেহাল করার একাধিক নজির রয়েছে মানিকের বিরুদ্ধে। উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের হান্নান অভিযোগ করেন, গত দুই বছর পুর্বে মিটার দেবার নামে তিন হাজার টাকা নেয়ার পরও মানিক মিটার এনে দিতে পারেনি, মিটার চাইতে গেলে আমাকে ক্ষুর দিয়ে ঘাঁ মেওে আহত করার চেষ্টা করে। তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরদার বলেন, সন্ত্রসীদের ব্যাপাওে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে,কেউ অপতৎপরতা চালিয়ে গণ অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।