সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পুটিপশি পাকা সেতুর উপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন উপজেলার তিন ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক জনতা। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় দফা বন্যায় ধসে পড়ে সেতুটি। দুই বছর পার হলেও সেতুটি পুননির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। এতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পথচারীসহ কর্মব্যস্ত বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষজন।
স্থানীয়রা জানান, জেলা শহরে যাতায়াতক্ষেত্রে অফিসপাড়াসহ কর্মব্যস্ত বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পুটিপশি গ্রামের সড়ক। আর সড়কটি জেলা শহর হতে সরাসরি আমবাড়ি-পুটিপশি হয়ে সুরমা নদীর তীরস্থ দোয়ারাবাজারের নূরপুর সিএনজি স্টেশনে এসে পৌছেছে। তাই উত্তর পাড়ের সুরমা, লক্ষীপুর ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক জনতাকে ওই সড়কে জেলা শহরে যাতায়াত করতে হয় প্রতিনিয়ত। দুই বছর আগে বন্যায় পুটিপশি ব্রিজটি ধসে গেলে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় চলাচলের একমাত্র ভরসা ওই সেতুর উপর বাঁশের সাঁকো। নড়বড়ে ওই সাঁকো দিয়ে গাড়ি পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ।
স্থানীয় বাসিন্দা লিটন দাস জানান, ‘সেতুটি ধসে পড়ার পর থেকে আমরা কীযে কষ্টে আছি তা যে কেউ একবার যাওয়া-আসা করলেই বুঝতে পারবে। গন্তব্যস্থলে নির্ধারিত সময়ে পৌছাতো যায়না। বিশেষত প্রসূতি মা সহ জটিল রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌছতে অন্তহীন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।’
সিএনজি চালক রাসেল মিয়া জানান, ‘ প্রয়োজনের তাগিদে দুই বছর ধরে ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাধ্য হয়েই ওই বাঁশের সাঁকোয় গাড়ি নিয়ে ব্রিজটি পারাপার করছি।এমনকি একাধিকবার খালের পানিতে গাড়ি পড়ায় আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছি।’
মান্নারগাঁও ইউপি সদস্য দীপক দাস জানান, ‘পুটপশি ব্রিজ ধসার পর উপজেলা পিআইও অফিস, এলজিইডি অফিস ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিককে আমি বিষয়টি অবহিত করেছি। তবে সাময়িক চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসীকে নিয়ে ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মিত হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় প্রকৌশলীরা সরেজমিনে ব্রিজের সয়েল টেস্ট করেছেন। সম্ভবত এখন টেন্ডারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ব্রিজটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানাই।’
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সুনামগঞ্জের এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম ব্যস্ত থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।’