টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট সূচি বেগমের আঙ্গুল কেটে ফেলা মামলায় কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন,তার ছোট ভাই শাহআলম ও জহুরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।গতকাল সোমবার তারা আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে হামলা,ভাঙচুর,আঙ্গুল কেটে ফেলা ও মারপিটের অভিযোগ এনে গেলো ১লা ফেব্রুয়ারি সূচির ভাই জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামী করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।পরে উচ্চ আদালতে আগাম জামিন নেন তারা।
এদিকে গেলো ৩০ জানুয়ারি ভূঞাপুর পৌরসভা নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী কেন্দ্রের নৌকা প্রতীকের এজেন্ট সূচি বেগমকে এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য কর্মীদের উপর নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অতর্কিত হামলা এবং নৌকা প্রতীকের এজেন্ট সূচি বেগমকে নির্বাচনী বুথ থেকে টেনে বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে ফেলার অভিযোগে কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গেলো ৩রা মে ভূঞাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল বাছিদ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ খাইরুল ইসলাম তালুকদার বাবলুর স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।উল্লেখ্য,৩০ জানুয়ারি সকাল থেকেই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছিলো ভূঞাপুর উপজেলার কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
খুশির সাথে শান্ত পরিবেশে ভোট দিচ্ছিলেন নারী ও পুরুষ ভোটাররা।বেলা পৌনে ১২টায় হঠাৎ করেই পাল্টে যায় দৃশ্য।নিজের অবস্থা শোচনীয় দেখে জাল ভোট দিতে যান কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের লোকজন।বাধা দেয় অপর কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের সমর্থকরা,শুরু হয় সংঘর্ষ।
লাঠি হাতে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন সদ্য বিজয়ী কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন।সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।কেটে ফেলা হয় নৌকা প্রতীকের এজেন্ট সূচি বেগমের আঙ্গুল।গুরতর আহত হয় ৭ জন।পরে অতিরিক্ত পুলিশ,র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।নিজের (আনোয়ারের) সমর্থক আহত খায়রুল মারা গেছে এমন গুজব রটিয়ে বাকিটা সময় কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখেন তিনি।
শুধু তাই নেয়,ফলাফল ঘোষণা শেষে বিজয়ী হওয়ার পর আরেক খেলায় মেতে উঠেন আনোয়ার হোসেন।তিনিসহ হিংস্র হয়ে উঠেন তার সমর্থকরা।শুরু হয় প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা।দফায় দফায় চালানো হয় হামলা।ভাঙচুর ও কোপানো হয় কমপক্ষে ১৫টি বাড়ি।