বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) নীলফামারী পরিবারের বার্ষিক বনভোজন “স্বপ্নপুরিতে একদিন” সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৪ মার্চ) দিনব্যাপী এই আয়োজন অত্যন্ত আনন্দ ঘন পরিবেশে উৎসবমুখরভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টায় নীলফামারী জেলা কার্যালয় থেকে বনভোজনের সফর শুরু হয়। জেলা অফিসে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের অতিথিদের নিয়ে বাস যাত্রা করে। পথে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল থেকে সৈয়দপুর বিসিক শিল্পনগরী ও বিসিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের স্টাফ ও সহযোগীরা যোগ দেয়।
বেলা ১১ টায় উত্তরবঙ্গের অন্যতম পিকনিক স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র “স্বপ্নপুরিতে” পৌঁছে নাস্তাপর্ব শেষ করা হয়। এসময় পারস্পারিক পরিচিতি ও বনভোজন তথা স্বপ্নপুরী পরিদর্শন নিরাপদ ও আনন্দময় করতে সার্বিক দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। এ বিষয়ে আলোকপাত করেন বিসিক জেলা কার্যালয়ের প্রধান উপ-ব্যবস্থাপক (ডিএম) হোসনে আরা খাতুন। এরপর নিজ নিজ পরিবারবর্গ, অতিথি, সহযোগীদের নিয়ে স্বপ্নপুরী পরিভ্রমণে পৃথকভাবে ছড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন রাইডে উঠে মজা করাসহ চিড়িয়াখানা, রেইনবো প্লেস, অদ্ভুতুড়ে যাদুঘর প্রভৃতি দেখা শেষে নির্দেশনা অনুযায়ী দুপুর ২ টা নাগাদ সকলেই ফিরে আসেন বাসের অবস্থানে।
এসময় রান্নার কাজ শেষ না হওয়ায় চলতে থাকে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সৈয়দপুর বিসিক শিল্পনগরীর পাম্প চালক প্রথিতযশা শিল্পী ফারুক হোসেন ও এশা মনি। তাদের সাথে গলা মেলান শিল্পনগরীর ভারপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষক সিরাজুল ইসলামসহ অন্যরা। ইতোমধ্যে বাবুর্চি ও সহকারীদের নিয়ে রান্না শেষ করেন আয়োজক বিসিক জেলা কার্যালয়ের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাজী আমানুজ্জামান, হিসাব রক্ষক রত্নেশ্বর রায়, বিসিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা নাহার, উন্নয়ন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, সামিউল ইসলাম, সৈয়দপুর বিসিক শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক সাদিকুল ইসলাম প্রমুখ।
দুপুরের ভোজন শেষে সামান্য বিশ্রামান্তে শুরু হয় মিউজিকাল চেয়ার এবং হাড়িভাঙ্গা খেলা। এতে সকলে মিলে স্বতঃস্ফূর্ত ও অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে মজার সাথে সম্পন্ন হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এতে প্রায় ২৫ জন অংশগ্রহণ করে ছয়জন বিজয়ী হয়। সন্ধা সাড়ে ৬টায় ফিরতি যাত্রায় গান, ছড়া-কবিতা আবৃ, কৌতুক আর করতালির মধ্যদিয়ে চলে বনভোজন নিয়ে মতামত ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার পালা। শেষে বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ ও সকলকে শুভেচ্ছা উপহার চকলেট প্রদানে সমাপ্তি টানা হয় বনভোজনের। আর এর মাঝেই পৌঁছে যায় সৈয়দপুরে। অনেকে এখানে নামেন। বাকীরা নীলফামারী বিসিক কার্যালয়ের সামনে।