বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়ি-ঘর সংস্কার বা মেরামতে সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন সংগঠনের আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পূনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় জামায়াতের চলমান কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই গৃহনির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সোমবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১ টায় ডিমলা উপজেলার চাপানীহাট আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ী গ্রামের তিস্তা নদীর পাড়ে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বাড়ি সংস্কার বাবদ ঢেউটিনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদান করেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা
আমীর আব্দুর রশিদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম ও আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা মজলিসে শূরা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমীরে জামায়াত হিসেবে নয় বরং ভাই হিসেবে এসেছি। কিন্তু যথাসময়ে আসতে পারিনি এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী। তবে আমি প্রতিনিয়ত খোজ নিয়েছি এই এলাকাটি সম্পূর্ণ স্রোতের মধ্যে ভাসছিল। সে কঠিন মুহূর্তে আমিতো আসতে চেয়েও সম্ভব হয়নি। দেশের অন্য অঞ্চলে বন্যা দূর্দসাগ্রস্থ আরেক ভাইদের জন্য ব্যস্ত ছিলাম।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমি ভাই হিসেবে সামান্য উপহার নিয়ে এসেছি। আজ কয়েকজনকে দেয়া হচ্ছে। আগামীতে ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা সবসময়ই আপনাদের পাশে থাকতে চাই। কিন্তু পারিনা। কারণ আমাদেরকে নানাভাবে বাধা দেয়া হয়। কিন্তু শত বাধা সত্বেও আমরা আল্লাহর হুকুমে আজও টিকে আছি।
আমরা চাই একটা কুরআনের সমাজ। যেখানে কোন ভেদাভেদ থাকবেনা। এজন্য যদি আমাকেও ফাঁসি দেয়া হয় হাসিমুখে মেনে নিবো। তবুও ধর্ম বর্ণ ভেদ ভুলে সকল মানুষের সাথে থাকবো। বিশেষ করে নির্যাতিত অসহায়দের সহায় হতে চাই। এজন্যই দূর্যোগ মুহুর্তে আপনাদের কাছে ছুটে আসা। এটা আমাদের দায়িত্ব। এতে অবহেলা করলে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, এই ভয়ই আমাদের সকল কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য। তাই আজ যারা গৃহনির্মাণ সামগ্রী ও বস্ত্র পাচ্ছেন তাদের বাছাই করণে কোন প্রকার আত্মীয় বা দলীয়করণ করে থাকলে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা। আমি খোঁজ রাখবো এবং দল মত ধর্ম বর্ণের উর্ধে উঠে সকলকে এই উপহার দিবো। আমি আজ সবার ঘরে ঘরে যেতে পারছিনা বা সবাই এখানে উপস্থিতও হননি। তাদের কাছে আমার সালাম পৌছে দিবেন। যেন তারা আমাকে ক্ষমা করে দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল কাদিম, মনিরুজ্জামান জুয়েল, ডিমলা উপজেলা আমীর মাওলানা মহিউর রহমান, জলঢাকা উপজেলা আমীর ছাদের হোসেন, সেক্রেটারি কামারুজ্জামান, ডিমলা উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ উপজেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।