দেশে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের পেছনে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দায় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলেও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে যত্রতত্র।কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল বাজারের মদিনা টেলিকমে ফ্লেক্সিলোডের পাশাপাশি সরকারি বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন দোকান মালিক।গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও মজুতের বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদফতরের কোনও অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে দোকান মালিক সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,উপজেলার শশীদল বাজারের মদিনা টেলিকমে ফ্লেক্সিলোডের পাশাপাশি দোকান মালিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গ্যাস সিলিন্ডারের বিক্রি করছেন নিঃসংকোচে।খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এই দোকানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রেরও সংকট রয়েছে।নেই সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির অনুমোদনও।সংগ্রহীত গ্যাস সিলিন্ডার ঘরেবাইরে রেখেছেন এলোমেলো ভাবে।এছাড়াও ফুটপাত ও রাস্তার ওপরেও গ্যাস সিলিন্ডার সাজিয়ে রেখেছেন।
অথচ এসব এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা।এরকমটাই মনে করছেন এলাকার সুশীল সমাজ।এব্যাপারে উক্ত বাজারের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে,মদিনা টেলিকমের মালিক দীর্ঘদিন যাবত এভাবে অবৈধ নিয়মে ব্যবসা করে আসছেন।গ্যাস সিলিন্ডার সংরক্ষণের কোনো বিধিনিষেধই মানছেন না তিনি।
অথচ,গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা ১৯৯১-তে বলা হয়েছে—গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের জন্য কমপক্ষে পাকা ফ্লোরসহ আধা পাকা ঘর থাকতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্স ও ছাড়পত্রসহ অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এক্সস্টিংগুইশার (Extinguisher),মজবুত এবং ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে।
এলাকাবাসী মনে করছেন মদিনা টেলিকম ও তার মতো ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এইসব অবৈধভাবে ও নিয়মনীতিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।অন্যথায় বড় ধরনের বিপদজনক পরিস্থিতির কবলে পড়তে পারে এলাকাবাসী।