ভোলায় নিহত যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটু হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার ও মদনপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত খোরশেদ আলম টিটুর স্ত্রী রোকেয়া বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার স্বামী ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান একেএম নাছির উদ্দিন নান্নু আমাদের পরিবারের একজন শুভাকাঙিখ হওয়ায় আমার স্বামী তার নির্বাচনী প্রচারে অংশ গ্রহণ করেন। তখন মদনপুর ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন চকেট, তার ভাই চকেট কামাল, তাদের ভাগিনা শাহিন ও নিরব সময় আমার স্বামী খোরশেদ আলম টিটুকে বিভিন্ন ধরণের হুমকী দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও আমার স্বামী টিটু নির্বাচনি প্রচারণায় পিছপা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী গত ২৬ নভেম্বর শুক্রবার মদনপুর ইউনিয়নের নবাগত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সবার সাথে মদনপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ট্রলারে করে ভোলার উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন। ওই সময় সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের নাছির মাঝি মাছ ঘাট থেকে প্রায় ৪০০ ফুট পূর্বে মেঘনা নদীতে দুইটি স্পীড বোড দিয়ে জামাল উদ্দিন চকেট গংরা নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের লক্ষে করে এলোপাথারি গুলি ছোড়ে। তখন নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান একেএম নাছির উদ্দিন নান্নুকে রক্ষা করতে গিয়ে আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই রাতেই আমার স্বামীর বড় ভাই মোঃ হানিফ ভূট্টু বাদী হয়ে ভোলা মডেল থানায় জামাল উদ্দিন চকেট, কামাল উদ্দিন, মোঃ শাহিন, মোঃ নিরবসহ ১৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু দু:খের বিষয় মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও আইন শৃঙখলা বাহিনী কতৃক মূল আসামী কাউকে গ্রেফতার করেনি। এ অবস্থা তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার স্বামী ও তার ছোট দুই শিশুদের বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
অন্যদিকে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান একেএম নাছির উদ্দিন নান্নুও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোরশেদ আলম টিটু হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৌলতখান উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম, পৌর মেয়র মোঃ জাকির হোসেন তালুকদার, নিহত খোরশেদ আলম টিটুর মা, স্ত্রী, দুই সন্তানসহ প্রমূখ।