লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ইউপি নির্বাচনের সম্ভাব্য ২ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র কিনতে গিয়ে দেখেন নিজ ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী সহ একাধিক ব্যক্তির ভোট উধাও। অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ নিয়ে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ।
জানাগেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বিছনদই গ্রামের মৃত. আনা উল্লাহ’র ছেলে আশরাফ আলী যার ভোটার ক্রমিক নং ৬৮ ও একই ওয়ার্ডের ছোলেমান গনির ছেলে আলতাব হোসেন যার ভোটার ক্রমিক নং ১০৭ জন্ম সুত্রে ৬ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার। ২৩ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে উক্ত ওয়ার্ডের সম্ভাব্য সদস্য প্রার্থী হিসেবে দু’জনেই গনসংযোগ করে আসছেন। নির্বাচনের মনোনয়ন কিনতে গিয়ে দেখেন সদ্য প্রকাশিত ভোটার তালিকায় নিজ ওয়ার্ডে সম্ভাব্য দুই প্রার্থী সহ একাধিক ব্যক্তির ভোট নেই। পরবর্তিতে ভোটার তথ্য যাচাই করে দেখেন আশরাফ আলীর ভোট ৬ নং ওয়ার্ড থেকে পার্শ্ববর্তি ৪ নং ওয়ার্ডে এবং আলতাব হোসেন’র ভোট ২ নং ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। সে কারনে দুই সম্ভাব্য প্রার্থী আর নির্বাচন করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে আশরাফ আলী বলনে, এবারের নির্বাচনে আমি ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের প্রত্যায়ন পত্র ছারা ভোট স্থানান্তর করা যায় না। প্রতিহিংসার কারনে ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান স্বপন ও চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ আমার অজান্তে ভোট স্থানান্তর করে যাতে আমি নির্বাচন করতে না পারি। আমার অজান্তে কি ভাবে ভোট স্থানান্তর করেছে তাই ন্যায় বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অপর দিকে আলতাব হোসেন বলেন,বাব দাদা এবং নিজের বসতবাড়ী ৬নং ওয়ার্ডে। যখন প্রথম ভোটার হয়েছি তখন থেকে এই ওয়ার্ডে ভোট দিয়ে আসছি। এবারে আমি ভোট করব গ্রামবাসী সবাই জানে। ভোটে আমার জয় নিশ্চিত জেনে কে বা কারা সড়যন্ত্র করে আমার ভোট ৬নং ওয়ার্ড থেকে ২ নং ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছে যাতে আমি প্রার্থী হতে না পারি। নিরুপায় হয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবীতে বৃহস্পতিবার অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান স্বপন বলেন, তাদের ভোট কে স্থানান্তর করেছে আমি জানিনা।
ডাউয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ বলেন,আমার জানামতে তাদের বসতবাড়ী ও ভোট ৬নং ওয়ার্ডে। হয়তোবা কেউ আমার স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যায়ন দিয়ে আশরাফ ও আলতাব সহ একাধীক ব্যক্তির ভোট নিজ ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছে।
পৃথক পৃথক দু’টি অভিযোগ পেয়েছেন বলে সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল আমিন।