নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্কুল ছাত্রী নাতনিকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় দাদাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইয়াসিন আরাফাত ও মো. নিরব এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞামনামা আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কামারপুকুর কাঙ্গালুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে এবং সেদিন রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার মামলার বাদী ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন মামলা করা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ এ নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত এলাকার মো. কাশিম আলীর ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (২১) একই এলাকার বাসিন্দা শহরের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম ও ভালবাসা নিবেদনসহ নানা কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল।
তার প্রস্তাবে সাড়া না দিলে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করাসহ বড় ধরনের ক্ষতি সাধণের হুমকি-ধমকিও দেয়। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি ওই ছাত্রী তাঁর বাবা ও পরিবারের সদস্যদের জানায়। এতে স্কুল ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি বখাটে ইয়াসিন আরাফাতের পরিবারের লোকজনকে জানানোসহ উত্ত্যক্ত করা থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করা হয়।
কিন্তু তারপরও বখাটে ইয়াসিন আরাফাত ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা থেকে বিরত হয়নি। এ অবস্থায় ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বখাটে ইয়াসিন আরাফাত সঙ্গীয় কয়েকজনকে নিয়ে আবারও ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। এতে ছাত্রীটি নিরূপায় হয়ে ওই দিনের ঘটনা তাঁর বৃদ্ধ দাদাকে বলে। পরবর্তীতে ওই দিন বিকেল আনুমানিক ৫ টার দিকে ছাত্রীর দাদা বৃদ্ধ তাদের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ইয়াসিন আরাফাতকে দেখতে পান।
এ সময় তিনি তাঁর নাতনিকে উত্ত্যক্ত না করার জন্য আরাফাতকে নিষেধ করেন। এতে ইয়াসিন আরাফাত ওই বৃদ্ধের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং সে জনৈক মো. নিরবসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রীর দাদার ওপর চড়াও হয়। সেখানে তারা বৃদ্ধকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে আহত করাসহ লোহার রড দিয়ে আঘাত করে।
এতে বৃদ্ধের নাকের ডান পাশে চোখের নিচে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন। মারাত্মক আহত হয়ে রাস্তার ওপর পড়ে যান তিনি। পরবর্তীতে তাঁর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই বখাটে ইয়াসিন আরাফাত ও মো. নিরব এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞামনামা আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।